পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষট পঞ্চাশত্তমোধ্যায় । ჯ) აზა প্রভৃতি সকলকে পরাজিত ও দূরীকৃত করিলেন। অনস্তর মৎস্যাধিপতি বিস্ময়াপন্ন হইয়া বৃহন্নলাকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করাতে বৃহন্নলা, তখন আত্ম পরিচয় সকলই প্রদান করিলেন, তৎশ্রবণে বিরাট নরপতি, সাপরাধীর স্যায় সশঙ্কিত হইয়া র্তাহীদের সকলকেই রাজসন্মানে পূজা করিতে লাগিলেন। এবং বার স্বার আপনার অপরাধ মার্জনা প্রার্থনা করিলেন । পাণ্ডব জ্যেষ্ঠ যুধিষ্ঠির তঁহকে আশ্রয় দাতা ও সৎপরোনাস্তি উপকারক বলিয়া পরম সন্তোষকর বাক্যে পরিতুষ্ট করত পরস্পরেই পরমানন্দ অনুভব করিতে লাগিলেন। এইসময়ে বিরাট রাজা পরমানন্দে নিজ কন্যা উত্তরার সহিত অৰ্জ্জুনপুত্র অভিমুন্যের শুভ উদ্বাহ কাৰ্য্য সুসম্পন্ন করিলেন। এই শুভ ও কল্যানকর কার্য্যোপলক্ষে সকলেরই অত্যুৎকর্ষ জনক হর্ষ প্রবাহ প্রবাহিত হইল। এই প্রকারে বৈবাহিক ও মাঙ্গল্য কৰ্ম্ম নির্বাহ হইলে, , পাণ্ডবগণ সেই স্থানে অবস্থান করিয়া ভারত যুদ্ধের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। ঐ যুদ্ধে পাণ্ডবদিগের সাহাৰ্য্যার্থে পাঞ্চল দেশীয় যোদ্ধা সকল তথায় আগমন করিল, এবং কাশীরাজ প্রভৃতি প্রধান প্রধান নৃপগণও তথায় নিমন্ত্রিত হইয়া আগমন করিলেন। সেই সকল যোদ্ধার সহিত মৎস্য দেশীয় যোদ্ধাগণে পরিবৃত হইয়া তুমুল যুদ্ধের ইচ্ছা করত পাণ্ডবগণ কুরুক্ষেত্রে গমন করিলেন । ইতি মহাভাগবতে মহাপুরাণে ষট পঞ্চাশত্তমোহধ্যায়। --- 00—