পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७०३ মহাভাগবত । অনুগমনের ইচ্ছায় পাণ্ডবগণ দ্বারকাপুরীতে যাত্রা করিলেন । দ্রৌপদী প্রভৃতি নারীগণ অনুগমন করিলেন, অন্যাস্য বহু জনও কৃষ্ণাস্তিকে গমন করিলেন। তঁহারা সকলে দ্রুতগামি রথে সমাৰূঢ় হইয়া দ্বারকাপুরীতে উপস্থিত হইলে, সকলকে যথাযোগ্য সম্ভাষণ করিয়া কৃষ্ণ সাশ্রুপূর্ণনয়নে স্নিগ্ধ গম্ভীর বাক্যে বলিতে লাগিলেন, হে মহারাজ যুধিষ্ঠির ! হে মিত্র অৰ্জ্জুন ! হে বৃকোদর! আপনার আমার এই জনপদকে প্রতিপালন করিবেন ও ইহার প্রতি সৰ্ব্বদাই দৃষ্টি রাখিবেন। সম্প্রতি আমি পৃথিবীতল হইতে স্বর্গে গমন করিব। এই প্রকার । ভাষিত শ্রবণ করিয়া সকলেই অশ্রুপূর্ণনয়ন হইল। পাণ্ডবে, পৃথক পৃথক প্রত্যেকেই বলিলেন, হে যাদবেন্দ্র ! হে কৃষ্ণ ! আমাদের মান, সম্মান, ধন ও জীবন সকলই তুমি । অতএব তোমা ব্যতিরেকে আমরা কদাচই থাকিতে পারিব না। এই কথা বলিতে বলিতে র্তাহীদের সকলেরই নয়নযুগল হইতে অজস্র অশ্রুজল বিগলিত হইতে থাকিল। কৃষ্ণ তাহদের নিশ্চিত অভিপ্রায় জানিলেন ; পরে দ্রৌপদীকে ঈষৎ হস্যে কৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করিলেন, কৃষ্ণে ! তোমার মনোভিলাষ কিপ্রকার ? তখন দ্রৌপদী অশ্রুজল মার্জন করিতে করিতে বলিলেন, হে কৃষ্ণ ! তুমি অদ্যা প্রকৃতি কালিকা দেবী, আমি তোমারই অংশসম্ভ,ত। এক মহাজলের অন্তর্গত যে অংশ জল, তাহার আর স্বতন্ত্র ভাব কখনই সংগত হয় না। মহা জলের যে ভাব, অংশজলেরও সেই ভাব সমুচিত হয়। , বেদব্যাস বলিতেছেন, অনন্তর বলরাম সেই স্থানে সমাগত হইয়। দেখিলেন ; কৃষ্ণ লীলা সম্বরণ করিতে একান্ত উদ্যত