পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক ষষ্টিতম সর্গ। . ৬২৫ নারদ যদৃচ্ছাক্রমে ইন্দ্রসভায় উপস্থিত হইলেন। ইন্দ্র তাহাকে যথাযোগ্য সন্মান পূর্বক রত্ন সিংহাসন প্রদান করিয়া বসাইলে, নারদ সেই দেব সভার মধ্যস্থিত দেবেন্দ্রকে বলিতে লাগিলেন, হে দেবরাজ ! তুমি ব্ৰহ্মহত্যা অপনোদনাৰ্থে অশ্বমেধ যজ্ঞ করিয়াছ ; কিন্তু তোমার ব্ৰহ্মহত্যজনিত পাপ ক্ষয় হয় না । তখন ইন্দ্র বলিলেন দেবর্ষে। আমি এই পাপ বিনাশের নিমিত্তেই মহাযজ্ঞ অশ্বমেধ করিলাম। তথাপি যদি পাপ ক্ষয় না হয়, তবে এখন কি উপায় করি বলুন। ইন্দ্রকে কাতর দেখিয়া নারদ বলিলেন, দেবরাজ ! তোমার গুরু মহামনা গৌতমের নিকটে গমন করিয়া স্বকীয় দুঃখ আবেদন করিবে, তিনি উপায় কহিয়t, দিবেন। সেই গৌতম সৰ্ব্বার্থবেত্তা। দেবরাজ ! সারসংগ্রহণ তোমার স্বাক্ষাতে কীৰ্ত্তন করিতেছি শ্রবণ কর। গুরুবাক্যই পরম শাস্ত্র এবং গুরুই পরম তপস্যা । গুরু সন্তুষ্ট হইন্না যাহা অজ্ঞা করিবেন তাহ অবশ্বাই হইবে, কদাচই অন্যথা । হইবে না "গুরুর অজ্ঞাই যে প্রায়শ্চিত্ত তাহা সৰ্ব্ব শাস্ত্রেই কহিয়াছেন। অতএব তাহার আজ্ঞামুসারে কৰ্ম্ম করিয়া অবশুই তুমি পাপ হইতে নিস্কৃতি লাভ করিবে। বেদব্যাস কহিলেন, এই কথা বলিয়া সেই যাদৃচ্ছিক মুনি প্রস্থানকরিলেন। তদনন্তর ইন্দ্র ত্বরান্বিত হইয়া গৌতম মুনির আশ্রমে গমন করিলেন। তঁহার অtশ্রমনিকটে উপস্থিত হইয়া সেই মহাত্মা গৌতমকে দর্শন করিলেন,—যেন মধ্যাহ্ন কালের সুৰ্য্যের স্থায় প্রভাযুক্ত। মস্তকে পিঙ্গলবণ জটা দেদীপ্যমান। ব্ৰহ্মতত্ত্বে মনোনিধান করিয়া