পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় । Q> ত্রিলোকনাথ সেই সতীনাথের, আর সাক্ষাৎ ব্ৰহ্মৰূপিণী তোমার কন্যার নিন্দ করিতেছ? ইহা কদাচ করিও না, কারণ সাধুবিগহিত-পথাবলম্বী হইলে, পরিণামে নিরয়গামী হইতে হয় । সেই তত্ত্বদর্শ দধীচি মুনি কর্তৃক বহু প্রকারে প্রবোধিত হইয়াও, দক্ষ রাজার ভ্রম দূর হইল না ; কোন প্রকারেই মহেশ্বরকে জগদীশ্বর বলিয়া জানিতে পারিলেন না ; প্রত্যুত আরম্বার অসদাচার কীৰ্ত্তন করত; শিবনিন্দাই করিতে লাগিলেন ; তাহার পর কন্যার প্রতি আক্ষেপ করত রোরুদ্যমান হইয়। বলিতে লাগিলেন, হে বৎসে, সতি ! হী পুত্ৰি ! তুমি আমার প্রাণসদৃশী কন্যা ; হায় বংসে ! আমায় পরিভাগ করিয়া কোথায় গমন করিলে ! হ৷ পুত্ৰ ! অামায় শোকসাগরে মগ্ন করিয়া, এখন তুমি কোথায় রহিয়াছ ! নাজানি কতই দুঃখভাগিনী হইতেছে ! রাজাকে একান্ত রে রুদ্যমান দেখিয়া, দধীচি মুনি তখন প্রিয় বাক্য দ্বারা সান্থন করিতে লাগিলেন, আণর নিজ পাণিপঙ্কজ দ্বারা তাহার নয়ন জল মার্জন করত কহিলেন, হে নরনাথ ! আপনি জ্ঞানীগণের মধ্যে প্রবীর হইয়া মুখের ন্যায় রোদন করিতে লাগিলেন ! হে মহাত্মন! অশেষ প্রকারে মহাদেবকে জানিয়াও আপনার অজ্ঞানচ্ছেদন হইল না ? ইহা অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় ! এই ত্রিলোক, চরাচর মধ্যে যাবদীয় স্ত্রীপুরুষ মূৰ্ত্তি আছে, সে সমস্তই, ঐ সতী শিবের মুর্হিবিশেষ ; আপনি শুদ্ধান্তঃকরণে, ঐ বিষয় ধারণা করিলে, মহাদেবকে অনাদি, পরম পুরুষ, আর আপ