পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৬৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিসপ্তভিতমে ধ্যtয় । , Nసెt করিলেই নিৰ্ব্বাণ মুক্তি লাভ হয়, কিন্তু গঙ্গাসাগরসঙ্গমের সর্বাধিক মহিমা এই যে, জলে অথবা স্থলে কিম্বা অন্তরীক্ষে জ্ঞান পূর্বক কিম্বা অজ্ঞান পূর্বক যে কোন প্রকারে দেহত্যাগ করিলেই অতি দুর্লভ পরম মুক্তি অনায়াসেই লব্ধ হয় । অতএব নারদ ! ত্রিলোকবালিলোকদিগের সৰ্ব্বার্থসাধিনী গঙ্গাই শ্রেষ্ঠতমতীর্থ ; গঙ্গা অবিদ্যার বিচ্ছেদকারিণী—ব্রহ্মবিদ্যাপ্রদায়িনী। মৃত্যু যাহদের কেশে ধারণ করিয়া আছেন, যাহাদিকে অবশ্যই একদিন মরিতে হইবে, তাহারা যদি যমযন্ত্রণ হইতে নিস্তার ইচ্ছা করে, তবে তাহারা ঐ পরমপাবনী গঙ্গর একস্ত শরণাগত হইবে । মহাদেব নারদকে বলিলেন, হে মুনে ! তোমাকে গঙ্গার মাহাত্মা, যাহা গুহ্যতম পরম পবিত্র মহাপাপনাশক, তাহাই’ বলিলাম, ভক্তিযুক্ত হইয়। যে ব্যক্তি এই ভাখ্যান পাঠ করে সে ব্যক্তি দেবীর পদবী অবশ্যই প্রশপ্ত হয়। যে স্থানে এই মহাত্ম্যপাঠ হয় সে স্থানে গঙ্গা সৰ্ব্ব তীর্থের সহিত স্বয়ং বাস করেন; সে স্থানে দৈব কৰ্ম্ম, কি পৈত্র কৰ্ম্ম, যাহা যাহা করিবে, তাহাই অনন্তফলজনক হইবে । ভূজপত্রে লিখিত এই মাহাত্ম্য ষে ব্যক্তি দেহে ধারণ করে, সে ব্যক্তি পূৰ্ব্বসঞ্চিত পাপপুঞ্জ বিনাশ করে ; পুনর্বর পাপকার্যের প্রবৃত্তিই জন্মে না। মুমূর্ষ সময়ে যে ব্যক্তি এই পুণ্যতম আখ্যান শ্রবণ করে, সে দেহ বিসর্জনান্তে পরম গতি প্রাপ্ত হয়। একাদশী দিবসে মানের পর তুলসী এবং বিলতরু সমীপে যে ব্যক্তি