পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 登y মহাভাগবত | অনন্তর সর্বরী সমাগত হইল, সতীর বদনসুধ করের অনুধ্যান সুখে, গিরি পত্নীর শয়নাবস্থায় নিদ্র। ছিন্নভিন্ন৷ হইতে থাকিল। বিভাবরী, শেষপ্রহর হইলে নিতান্ত ঔৎসুক্য চিত্তে, তিনি প্রভাত প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, এমত সময়ে, ভগবান মরিচমি লী, উদয় চলের চুড়াবলম্বন করিতে সজ্জা করিলে, পূৰ্ব্বদিক রক্তিমাবর্ণ অরুণ কিরণে, তা লোকিত হইল। যামিনী প্রভাত দেখিয়া, গাত্রে থান করত, সংস্কৃত ব্রতীর স্যায়, কত শৌচ, পূক্তবসনা হইয়া প্রভাত সময়াবধি, সতীর গৃহদ্বার, চত্বর, প্রভৃতির মর্জন করেন। সতীর নিদ্রাভঙ্গ হইলে, বাহ পিণ্ডকে বসিবার পরিষ্কৃত -পাষ্ঠস্থাপন, বদন ধৌত করিবার সুগন্ধি জলপূর্ণ পত্র, দন্তমার্জনার দ্রব্য ও গাত্র মাৰ্দ্ধনী, পরিস্বচ্ছ দপণ, কজলপত্র, অঞ্জনশলাকা, কেশসংস্কারের দ্রব্যাদি, এইসকল প্রস্তুত করিয়া রাখেন । এই প্রকার দুই এক দিবস করিলে পর, সতীর সহিত কথোপকথনে গিরিরাণী পরিচিত হইলেন । পরে গিরীন্দ্রপত্নীর নিষ্কপট বাৎসল্য ভাব দর্শন করিয়া দীক্ষায়ণ তুষ্টহদয়া হইলেন। রাণীকে, মা, মা, বলিয়া গৌরব করিতেন ; রাণীও সেই বিধুবদন হইতে অমৃতময় মাতৃবাক্য শ্রবণ করিয়া, ততোধিক স্নেহ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। সতীর নিদ্রাভঙ্গ হইলে, একবার ক্রোড়ে লইয়া, আদর বাক্যে মুখচুম্বন করত, ইতস্ততঃ গমনাগমন করিয়া, জলহস্ত দ্বারা সতীর বদনার বিন্দের পযুসিত, অলকাতিলক প্রোঞ্ছন, অঞ্চল দ্বারা মুখমার্জন, তদনন্তর মুখাসনে বসাইয়া, উত্তমোত্তম চৰ্ব্ব্য চোষ্য আহার প্রদান, এবং দিনমণি,