পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় । b@t বলিলে, সতী প্রস্থতির ক্রোড়ে থাকিয়া বলিতে লাগিলেন, জননি ! যিনি যজ্ঞেশ্বর,যিনি সৰ্ব্ব দেবতার দেবতা, ত্রিজগতের বন্দনীয় বিধু এবং বিধাতা, ইহারাও যাহার আরাধনা করেন, সেই শিবের যখন নিমন্ত্রণ বারণ হইয়াছে, তৃখন এ যজ্ঞের নিৰ্ব্বিঘ্নে সমাপ্তি দেখিতেছি না, আমার ইহা নিশ্চয় বিবেচনা হইতেছে । সতীর বাক্য শেষ হইলে, প্রস্থতি বলিলেন, বৎসে ! তবে শ্রবণ কর ; আমি গত রজনীতে যাহা সপ্ন দর্শন করিয়াছি,সে বৃত্তান্ত সাতিশয় ভয়প্রদ, স্মরণে গাত্ররোমাঞ্চ হয়। প্রজাপতি যে স্থানে যজ্ঞ করিতেছেন, ঐ যজ্ঞভূমিতে অকস্মাৎ একটা দেবী আগমন করিলেন; তিনি ঘোরতর শু্যামবর্ণ আলুলয়িতকেশী, ষোড়শী, মুখে অট্ট অট্ট হাস্য করাতে র্তাহার দশনপক্তি নিবিড় নীরদ মধ্যে সৌদামিনীপ্রকাশের স্তায় শোভা বিকাশ করিতেছে। তিনি ত্রিনয়নী, কটিদেশে নরকরবিভূষিত, দিগম্বরী। তদ্রুপ দর্শনে ভয়চকিত হইয়া বিনতিপূৰ্ব্বক প্রজাপতি fজজ্ঞাসা করিলেন, হে দেবি ! আপনি কে? কাহার বনিতা? কোন স্থান হইতে এখানে সমাগত হইলেন ? নৃপতির বাক্য বসানে সেই দেবী কহিলেন, হে পিতঃ! আমি আপনার সতীনাম্নী কন্যা, আণমাকে চিনিতে পারিলেন না ? কি আশ্চর্য্য ! তখন দক্ষ ক্রোধাবেশে পিণাকীকে ও সতীকে তর্জন গর্জন করত কতই ভৎসনা ও অবমাননা করিলেন, সে কথা মনে জাগরুক হইলে মন শোকানলে দগ্ধ হয়। তৎপরে সেই পতিপ্রাণী সতী সেই সকল কটুক্তি ও নিন্দাবাদ শ্রবণ করিয়া, ষজ্ঞীয় অনলে স্বদেহকে আহুতি প্রদান করিলে