রিতা যখন। বিরোধ করিত প্রায় ভীম দুর্য্যোধন॥ এ কারণ ধতরাষ্ট্র মন্ত্রণা করিয়া। সবারে বারণাবতে দিল পাঠাইয়া॥ দুষ্ট মন্ত্রি সহ যুক্তি করি দুর্য্যোধন। তথা এক জতুগৃহ করিল রচন॥ তোমা সবা রহিবারে দিল সে ভবন। বহু সৈন্যগণ সহ রাখে পুরোচন॥ দৈবযোগে ব্রাহ্মণ ভোজন সেই দিনে। ব্যাধপত্নী এলো এক অন্নের কারণে। তার সঙ্গে পঞ্চ পুত্ত্র দেখি তার মাতা। জিজ্ঞাসিল কহ সত্য কিবা তব কথা॥ কি নাম ধরয়ে তব পুত্ত্র পঞ্চ জন। কি নাম তোমার হেতা গতি কি কারণ॥ ব্যাধপত্নী বলে দেবি নিবেদন করি। পাণ্ডু ব্যাধপত্নী আমি কুন্তীনাম ধরি॥ জ্যেষ্ঠ পুত্ত্র যুধিষ্ঠির ভীম যে দ্বিতীয়। চতুর্থ নকুলনাম অর্জ্জুন তৃতীয়॥ পঞ্চমের নাম সহদেব সে কোমল। আমার বৃত্তান্ত দেবি শুনহ সকল॥ নিত্য কর্ম্ম মৃগয়া করেন মোর স্বামী। মাংস বেচি উদর ভরি যে সর্ব্ব প্রাণী॥ স্বামী জাল লয়ে গেল মৃগয়া কারণ। না পাইল মৃগ বহু করি অন্বেষণ॥ অত্যন্ত চিন্তিত ব্যাধ এসে দুঃখমনে। হেন কালে এক মৃগী দেখিল নয়নে॥ মৃগীর প্রসবকাল আসি উপস্থিত। হেন কালে ব্যাধ তারে বেড়ে চারিভিত॥ এক দিকে অগ্নি দিল জাল আর দিগে। আর দিকে শ্বান ছাড়ি দিল অতি বেগে॥ আপনি সে ধনু ধরি অস্ত্র নিল হাতে। ব্যাকুলা হইয়া মৃগী চাহে চতুর্ভিতে॥ চারি দিকে নিরখিয়া পথ না পাইল। কাতর হইয়া মৃগী ভাবিতে লাগিল॥ হে শ্রীকৃষ্ণ আর্ত্তত্রাতা যাদব নন্দন। এ মহাসঙ্কটে মোরে করহ রক্ষণ॥ তৃণ জল খাই কারো হিংসা নাহি জানি। তবে কেন ব্যাধ মোরে বধয়ে অমনি॥ এই রূপে মৃগী প্রাণে কাতর হইয়া। রক্ষা কর জগন্নাথ বলিল ডাকিয়া॥ শুনি নারায়ণ হয়ে সদয় হৃদয়। মেঘে আজ্ঞা দিল মেঘ জল বরিষয়॥ অগ্নি নিবাইল জাল উড়িল বাতাসে। অকস্মাৎ আসি ব্যাঘ্র শ্বানেরে বিনাশে। ব্যাধ শিরে তখনি হইল বজ্রাঘাত। চারি দিগে মুক্ত তারে করেন শ্রীনাথ॥ ব্যাধের মরণে সবে অনাথ হইনু। অন্ন
পাতা:মহাভারতীয় বৃহৎ ভীষ্মপর্ব্ব - কাশীরাম দাস.pdf/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভীষ্মপর্ব্ব।
২৭
