হেতু দেবি তব সদনে আইনু॥ শুনিয়া সকল বাক্য ভোজের নন্দিনী। দয়া উপজিয়া তারে দিল অন্ন আনি॥ উদর পূরিয়া অন্ন খায় ছয় জন। সেই ঘরে রহে সবে করিয়া শয়ন॥ দুর্য্যোধন আজ্ঞা তোমাসবা পোড়াবারে। রাত্রিযোগে পুরোচন অগ্নি দিল দ্বারে॥ প্রলয় হইল অগ্নি আকাশ পরশে। সহদেবে তুমি জিজ্ঞাসিলা রাজা রোষে॥ সকল জানেন বীর মাদ্রীর নন্দন। বিদুর রক্ষিত পথ করে নিবেদন॥ স্তম্ভের নীচেতে পথ সুড়ঙ্গ ভিতর। স্তম্ভ উপাড়িল তবে বীর বৃকোদর॥ সেই পথে ছয় জন হইলে বাহির। গদা ছাড়ি আইলেন ভীম মহাবীর॥ ফিরিয়া গেলেন বীর গদা আনিবারে। সাক্ষাৎ হইল অগ্নি ভীমে দহিবারে॥ তবে ভীম অগ্নিপ্রতি বলিল বচন। আমার সমান দিব এক শত জন॥ শুনি নিবর্ত্তিল অগ্নি ক্ষমা দিল মনে। গদা লয়ে বাহির হইল ভীমসেনে॥ দ্বারকা ছিলেন প্রভু অপূর্ব্ব শয্যায়। নিজাঙ্গে নিলেন তাপ দয়ালু হৃদয়॥ অঙ্গেতে উত্তাপ দেখি ভীষ্মক দুহিতা। কৃষ্ণে জিজ্ঞাসেন কহ ইহার বারতা॥ শ্রীহরি কহেন ইহা বলিবার নয়। এ কথা প্রেয়সি নাহি জিজ্ঞাস আমায়॥ সেই মহা অগ্নি তাপ নিজ অঙ্গে লৈয়া। তোমা সবাকারে উদ্ধারিলেন আসিয়া॥ মহাসঙ্কটেতে মৃগ পাইল উদ্ধার। এমত দয়ালু হরি সারথি তোমার॥ ইহাতে সন্দেহ কেন কর মহাশয়। অবশ্য সমরে তব হইবেক জয়॥ এত বলি বুঝাইল দ্রুপদ ধর্ম্মেরে। রজনি বঞ্চিল হবে সানন্দ অন্তরে॥ ভীষ্মপর্ব্ব কথা ব্যাসদেবের রচিত। কাশীরাম দাস কহে রচিয়া সঙ্গীত॥
অথ পঞ্চম দিনের যুদ্ধারম্ভ।
আর দিন প্রভাতে মিলিল দুই দল। সমুদ্র সদৃশ ব্যূহ করে কুরুবল॥ রচেন শৃঙ্গটনামে ব্যূহ যুধিষ্ঠির। দুই শৃঙ্গে রহিল সাত্যকি ভীম বীর॥ সহস্র সহস্র যোদ্ধা করি রণ বেশ। কৃষ্ণ সঙ্গে অর্জ্জুন রহেন মধ্যদেশ॥ তার পাছে যুধিষ্ঠির মাদ্রী পুত্ত্রসনে। অভিমন্যু বিরাট রহিল অনুক্রমে॥ দ্রৌপদীর পাঁচ