পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র তাহাকে এক দরিদ্রের ঘরে প্রেরণ করিয়াছিলেন । প্রকৃতির কি বিচিত্র লীলা— —“উৎসবে তার আসে নাই কেহ বাজে নাই বাঁশী সাজে নাই গেহ’— এমনি দরিদ্র পিতামাতার গৃহে যিনি ভূমিষ্ঠ হইয়াছিে র্তাহারই সুখ দুঃখ একটা বিরাট জাতির সুখ দুঃখের সহিত নিরবচ্ছিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট হইয়া গিয়াছিল । তাই বোধ হয় আজ র্তাহার তিরোধানে তাহার নিজ পুত্র পরিজনের যত ক্ষতি হইয়াছে তাহার সহস্র গুণ অধিক ক্ষতি হইয়াছে সেই জাতির যে জাতির মধ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, যাহাদের মধ্যে তিনি নিজকে রিক্ত করিয়া বিলাইয়া দিয়াছিলেন—যাহাদের জীবনতন্ত্রীর সহিত র্তাহার জীবনতন্ত্রী একই সুরে গ্রথিত হইয়া গিয়াছিল। শুধু জাতির মঙ্গল কামনায় নহে মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে নিজকে উৎসর্গ করিয়াছিলেন । উচ্চ, নীচ, ধনী, নিধন বিচার করিয়া তিনি কাহারও কল্যাণ চিন্তা করিতেন না । এই জন্তই তিনি সকলের হৃদয় সিংহাসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন এবং এইজন্যই তাহার তিরোধানে আজ সমগ্র বাঙ্গালী এত কাতর হইয়া পড়িয়াছে। র্তাহার মহাপুরুষ নামের সার্থকতা জাতির এই অসামান্ত শ্রদ্ধার উপর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । হিন্দুগণ জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাসী । শুনা যায় যে সমস্ত গ্ৰহ নক্ষত্রাদির একত্র যোগাযোগ জাতকের ভাগ্যে