পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bry” মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র সৰ্ব্ব ধৰ্ম্মেরই পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি বলিতেন—“অহিংসা ও জীবে দয়া” সকল ধৰ্ম্মের মূলমন্ত্র ; এবং এই মন্ত্র সাধনা করিলে যে কোন ধৰ্ম্ম মতেরই উপাসক হউক না কেন সকলেই দয়াময় ভগবানের করুণালাভ করিবেন। “জীবে দয়া? তাহার প্রকৃতই সাধনার মূলমন্ত্র ছিল। তাহার তিরোধানের প্রায় একবৎসর পূৰ্ব্বে শ্রীধাম বৃন্দাবনে অযথা ‘বানরবিনাশ আরম্ভ হয়। মহারাজা এই অযথা জীবহত্যায় অত্যন্ত মৰ্ম্মপীড়া প্রাপ্ত । হইয়াছিলেন বৈষ্ণবগণের প্রিয়ভূমি শ্ৰীভগবানের মধুর লীলা নিকেতন শ্রীধাম বৃন্দাবনে এইরূপ অযথা প্রাণিহত্যা দেখিয়া কাহার না মৰ্ম্মপীড়া উপস্থিত হইবে । কলিকাতাবাসি জনগণ বিক্ষুব্ধ হইয়া এই বানর হত্যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করিতে কৃতসংকল্প হয় । সুপ্রসিদ্ধ অমৃতবাজার পত্রিকার স্বত্বাধিকারী পরম বৈষ্ণব শ্রীযুক্ত মৃণালকান্তি ঘোষ মহোদয় প্রমুখ কলিকাতার শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ নৈষ্ঠিক বৈষ্ণবগণ এই আন্দোলনে যোগদান করেন । কলিকাতা আলবার্ট হলে এক প্রতিবাদ সভা আহুত হয় এবং স্বগীয় মহারাজা সেই সভায় সভাপতির আসন পরিগ্রহ করিয়া এই অমানুষিক জীবহত্যার তীব্র প্রতিবাদ করেন । বহুপূৰ্ব্বে পুরাধামেও একবার এইরূপ বানর হত্যা আরম্ভ হয়, প্রভুপাদ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়ের কথায় গভর্ণমেন্ট এই হত্যাকাণ্ড নিবৃত্ত করেন । এই আন্দোলনে মহারাজা । মণীন্দ্রচন্দ্রেরও যোগ ছিল।