পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদনার তপণ (t রাজযোগের সূচনা করে মনীন্দ্রচন্দ্রের জন্মকালে ঠিক সেইরূপ যোগাযোগের সমাবেশ হইয়াছিল । কোন এক জ্যোতির্বিবদ তাহার জাতলগ্ন ও গ্রহসমাবেশ পর্য্যালোচনা করিয়া বলিয়াছিলেন যে দরিদ্র সন্তানের যে রাজযোগ সংঘটিত হইলে তাহার জীবন সম্বন্ধে কোন আশা রাখা যায় না, মহারাজা সেইরূপ রাজযোগে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন ;—সঙ্গে সঙ্গে তিনি এ কথাও বলিয়াছিলেন যে যদি কোন প্রকারে তিনি জীবননাশক একটি রিঃ অতিক্রম করিয়া উঠিতে পারেন তবে তাহার সিংহাসনলাভ অনিবাৰ্য্য । হিন্দু জ্যোতিষের উপর র্যাহাদের আস্থা কম, একবার তাহারা বিশেষ প্রণিধান পূর্বক মহারাজার জীবনী পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখিবেন জ্যোতির্বিবদ কি তীব্র ভবিষ্যদ্বানী করিয়া গিয়াছিলেন । মহারাজা আজ ইহ জগতের পরপারে খেয়া পাড়ি দিয়াছেন—সেই ভবিষ্যদ্বক্তা জ্যোতির্বিবদও হয়ত আর ইহ জগতে নাই কিন্তু মহারাজের বিরাট কৰ্ম্মময় জীবনের ইতিহাস জ্যোতিষীর উক্তির চরম সত্য রক্ষা করিয়া বিরাজ করিতেছে । শুধু দরিদ্রের গৃহেই নহে, মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র দারিদ্র্য ও হর্ভাগ্য লইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ভূমিষ্ঠ হইবার পর হইতেই অফুরন্ত মাতৃস্নেহ ও পিতার আদরযত্ন ভিন্ন তাহার মৰ্ত্ত্যলোকে অন্য কোন অবলম্বনই ছিল না। দরিদ্রের স্নেহ –অনিচ্ছাকৃত অনাদরে ধূলি শয়ান শিশু, ক্ষুধার তাড়নায়