পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহা প্রয়াণ 为分 গৌরব কেহ মান করিতে পারে নাই । কিন্তু জাতির ও মানুষের এই অকৃতজ্ঞতায় মহারাজা মনে যে তীব্র বেদন পাইয়াছিলেন তাহাই তাহার মৃত্যুর একমাত্র কারণ। বড় দুঃখে বড় বেদনায় বলিতে ইচ্ছা হয় । “Alas Ingratitude of Man”– রোগশষ্যায় । টাউন হল সভার অব্যবহিত পরেই মহারাজ রাজধানী কাশিমবাজারে চলিয়া যান । কয়েকদিন কাশিমবাজারে বেশ ভাল ভাবেই কাটিয়া যায়। শারদীয় পূজার উৎসব কাশিমবাজার রাজবাটিতে মহা সমারোহে সম্পন্ন হয় । তখনও মহারাজার শরীর বেশ সুস্থ । কেহ তখন স্বপ্নেও ভাবিতে পারে নাই যে শত শত কাঙ্গালকে র্কাদাইয়া শত সহস্ৰ আশ্রয়হীন উপায়হীন অনাথের কাতর রোদন উপেক্ষা করিয়া স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, প্রিয়তম পৌত্র এবং প্রিয়তমা দৌহিত্রী সকলের মায়াপাশ ছেদন করিয়া বৈষ্ণব শিরোমণি মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র গোলকধামে শ্ৰীবিষ্ণুর চরণ সমীপে মহাপ্রয়াণ করিবেন। কেহই ভাবিতে পারে নাই সেই সবল উদার ও তেজস্ব মহাপুরুষ মানুষের সঙ্গে সকল পার্থিব সম্বন্ধ ঘুচাইয়া দিয়া অমরাবতীতে চলিয়া যাইবেন ।—এমন কি পীড়িতাবস্থায় যখন র্তাহার ইচ্ছানুসারে র্তাহাকে কলিকাতায় আনয়ন করা হয় তখনও সকলে মনে করিয়াছিলেন যে তিনি আরোগ্য লাভ 이