পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহা প্রয়াণ Yo (r আসিয়া যায় না কিন্তু মরণের এই জয়যাত্রা, শত শত সহস্ৰ সহস্র নয়নের তপ্ত অশ্রুজলের উপর যাহা প্রতিষ্ঠিত—তাহা যুগ যুগান্তর ধরিয়া ইতিহাসের বুকে মুদ্রিত হইয়া থাকিবে, ভবিষ্যতে ধৈৰ্য্যহারা, বাধনহারা শোকাৰ্ত্ত সন্তানদিগকে অশেষ প্রকারে সাম্বন দিবে। ভগবানের রাজ্যে এই এক নিয়ম যে গ্ৰাহারা পুণ্যকৰ্ম্ম করিবেন, যাহারা লোকহিতে প্রাণ বিসর্জন করিবেন–র্যাহারা প্রীতির অনুরোধে নিজের মুখের গ্রাস পরের মুখে তুলিয়া দিবেন–র্তাহারা প্রদীপ্ত নক্ষত্ররাজির ন্যায় ইতিহাসের গগন পথে চিরদিন উদিত থাকিয়া ভ্রান্ত পথিককে পথ দেখাইবেন । বেলা এগারটার পর শবদেহের গঙ্গাস্নান, নববস্ত্র পরিধান তিলকাদি প্রভৃতি হিন্দুধৰ্ম্মানুযায়ী অস্ত্যেষ্টি কৃত্যাদি সম্পন্ন পূর্বক বিশুদ্ধ গব্যস্কৃত দ্বারা অভিসিক্ত চন্দন কাষ্ঠের চিতার উপর শবদেহ স্থাপন পুৰ্ব্বক যথারীতি অগ্নিসংযোগ করা হয় । দাউ দাউ করিয়া চিতানল জ্বলিয়া উঠিয়া তাহার ধুম ও অনলশিখা আকাশম্পর্শ করিল। চতুর্দিক ব্যাপিয়া উচ্চ হরিধ্বনি উঠিল। তারপর ক্রমে ক্রমে সব ভস্মীভূত হইয়া গেল । এই শ্মশান, এই চিতাগ্নি—ঐ ধূমের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দেহ বিলীন হইয়া গেল—ঐ ধূমের সঙ্গে সঙ্গে সকল মতবাদ, সকল জাতিগত, নীতিগত বৈষম্য সকল বিবাদ, সকল ক্ষোভ এক হইয়া মানুষের মধ্যে সাম্যের এক নূতন বারাণসীর স্থষ্টি হইল—আজ এই সময় এইখানে—