পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

() মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী কি অর্থনীতিক্ষেত্রে, কি ধর্মের ক্ষেত্রে, কি কৰ্ম্মের ক্ষেত্রে তাহার মহত্ব সৰ্ব্বত্র সপ্রকাশ ছিল। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রেই তাহা সৰ্ব্বাপেক্ষণ প্রোজ্জল হইয়াছিল। তাহার কারণ, তিনি বুঝিয়াছিলেন, যেমন অসার কাষ্ঠখণ্ডে মুৰ্ত্তি ক্ষেণদিত করা যায় না, তেমনই অশিক্ষিত সমাজে কোনরূপ উন্নতি স্থায়ী হয় না—হইতে পারে না। মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছিলেন, তাহার দানের পরিমাণ ১ কোটি টাকা এবং দানের জন্য প্রসিদ্ধ পাশী সম্প্রদায়ের কেহই একক এত টাকা দান করেন নাই। কিন্তু যাহারা মণীন্দ্রচন্দ্রের দানের ইতিহাস আলোচনা করিয়াছেন তাহারা বলিবেন—-বাঙ্গালীয় ও বাঙ্গালীর বাহিরে শিক্ষাবিস্তার কল্পেই তিনি নূ্যনাধিক কোট টাকা ব্যয় করিয়া গিয়াছেন। বাঙ্গালার বাহিরে বারাণসী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন বাঙ্গালার আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা মন্দিরে তেমনি তিনি ২ লক্ষ টাকা দান করিয়াছিলেন । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র কয় মাস পূৰ্ব্বে তাহার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জন্য তাহার চিত্র প্রতিষ্ঠা করিয়াছে । তিনি বহরমপুরে একটি চিকিৎসা-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্যও ১ লক্ষ টাকা দিয়া গিয়াছেন। বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ কলেজ তাছার অপর কীৰ্ত্তি। উহার জন্ত কখন কখন তাহাকে বৎসরে ৫০ হাজার টাকারও অধিক ব্যর করিতে হইয়াছে। কলেজ স্কুলটির নিৰ্ম্মাণ কল্পেই তিনি প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন। নানা স্থানে তিনি মধ্য ইংরাজী ও উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া সে সকলের ব্যয়ভার বহন করিতেন। এতদ্ব্যতীত তিনি শতাধিক ছাত্রকে বাস ও আহার দিয়া । প্রতিপালন করিতেন এবং তাহাদিগের শিক্ষার ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিতেন। বছ ছাত্র তাছার নিকট পাঠ্য পুস্তকের ও পরীক্ষার ফীর জন্ত অর্থ পাইত । আবার তিনি ইখোরায় খনির কাজ শিখাইবার জন্ত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা