পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“, е মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী অসহযোগে দৃঢ়সঙ্কল্প বাঙ্গালার জনগণ। বাঙ্গালার জনমত যে পরাভব, জানে না, লর্ড কার্জন হইতে সার ব্যাম ফাইল্ড ফুলার পর্য্যস্ত শাসকরা তাহা ভুলিয়া গিয়াছিলেন। তাই তখন রাজনীতিক গগনে ঘনঘটা পুঞ্জীভূত মেঘমধ্যে রাজরোষ বজ্রদ্যোতক বিদ্যুতের মত দেখা দিতেছে। বাঙ্গালী প্রতিজ্ঞা করিল—বঙ্গভঙ্গ নাকচ করিবে। সে যুদ্ধের প্রথম তুর্ধ্যনাদ ধ্বনিত হইয়াছিল—মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্রের দ্বারা । সে ষেন পাঞ্চজন্ত শম্বের ধ্বনি। যে সভায় বিলাতীপণ্য বর্জনের প্রস্তাব গৃহীত । হয়, সে সভায় তিনিই সভাপতি ছিলেন। বাঙ্গালীর জয়রথ র্তাহার সারথ্যে কিরূপে অগ্রসর হইয়াছিল, তাহা আজ আর বলিয়া দিতে হইবে না। যিনি স্বয়ং সরকারের উপাধিধারী, যিনি বিপুল সম্পত্তির অধিকারী—তিনি তাহার এই কাৰ্য্যের দ্বারা ষে সাহসের পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহা কি স্বদেশপ্রেমের উৎস ব্যতীত আর কোথাও উদগত । হইতে দেখা যায় ? ব্যবস্থাপক সভায় সদস্যরূপে তিনি সমভাবে দেশের লোকের অধিকার, সঙ্কোচক বিধির প্রতিবাদ করিয়া গিয়াছেন । তিনি যে ভাবে রৌলট আইনের প্রতিবাদ করিয়াছিলেন, তাহ আমি কখন বিস্তুত হইব না। লে দিনের দৃপ্ত ভুলিবার নহে। লর্ড চেমসফোর্ড সেই দিনই আইন পাশ করিবেন । পুৰ্ব্বাহ্নে একবার, অপরাহ্নে অর;একবার এবং সন্ধ্যায় তৃতীয় বার ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশন হইবে ; তাহার পর দিল্লীর শীতে রাত্রির অধিবেশন। জয়লাভ অসম্ভব বুঝিয়া বীরযোদ্ধ। স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও আর শেষ অধিবেশনে আসিলেন না । কিন্তু কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ মণীন্দ্রচন্দ্র রাত্রি ১টা পৰ্য্যজ্ঞ থাকিয়া আইনের বিরুদ্ধে, ভোট দিয়া—বাঙ্গালীর প্রতিনিধির কার্য্য সম্পন্ন করিয়া গৃহে ফিরিলেন। দেশপ্রীতি ও কর্তব্যনিষ্ঠার সেরূপ দৃষ্টাস্ত কয় জন দেখাইতে পারেন ।