পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by” মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র পিতা উদত অন্নগ্রাস পরিত্যাগ করিয়া আসিয়া ছেলেকে কোলে তুলিয়া লন। বিধাতার বিচিত্র নিয়মে এইরূপ নানা প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেও এবং নানাপ্রকার ভাগ্যবিপর্য্যয় ও নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করিয়াও মণীন্দ্রচন্দ্র ক্রমে ক্রমে চন্দ্রকলার ন্যায় বাড়িয়া উঠিতেছিলেন। কেহই তখন ভাবিতে পারেন নাই যে ততটুকু সুখও এ জীবনে শ্বাশ্বত নহে—ইহার পরে ইহাপেক্ষা আরও কঠোর পরীক্ষা আছে এবং ইহাপেক্ষাও আরও কঠোরতর দুর্ভাগ্য এই শিশুকে গ্রাস করিবার আশায় রসনা বিস্তার করিয়া আছে । প্রকৃতির লাল মানব-বুদ্ধির সম্পূর্ণ অগোচর। এক দুশ্চেছ প্রহেলিকার মত মানব জীবনের মহাসত্যকে কে এবং কেন যে এমন নিপুণ ভাবে আচ্ছন্ন রাখিয়াছে তাহ বোধ হয় আজও পর্য্যন্ত জগতের কেহ নিরাকরণ করিতে পারেন নাই । দ্বাদশ বৎসর অতিক্রম করিয়া ত্রয়োদশ বৎসরে পদার্পণ করিবার সঙ্গে সঙ্গেই মণীন্দ্রচন্দ্রের অদৃষ্টাকাশে যে খণ্ডমেঘরাজি সঞ্চারণ করিতেছিল তাহা একসঙ্গে জমাট বাধিয়া তুর্ভাগ্যের বায়ু তাড়নায় ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল । তারপর ঝড় উঠিল—এই ক্ষুদ্র বালকের জীবন লইয়া নিষ্ঠুর নিয়তির কন্দুক ক্রীড়া চলিতে লাগিল । তারপর একদিন বালকের ইহ পরলোকে একমাত্র গতিরূপে যিনি একাধারে পিতা ও মাতার স্নেহদান করিয়া বালকের জীবন রক্ষা করিতেছিলেন—কালের কঠোর অনুজ্ঞায় নিৰ্ম্মমের মত তিনি বালক পুত্রকে নিৰ্ব্বান্ধব করিয়া লোকান্তরে চলিয়া গেলেন। দরিদ্র দম্পতির গৃহে জন্মগ্রহণ করিয়া, দারিদ্র্য