পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-8 মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী মধ্যে অগ্রণী ছিল সে কেবল মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র ননদীর জন্য । তিনি একাধারে সমুদ্রের উদারতা ও দধীচির ত্যাগ দেখাইয়া গিয়াছেন । তিনি এদেশে দানের নূতন আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। তাহার দান কোন সম্প্রদায়ে, কোন স্থানে, কোন অনুষ্ঠানে বদ্ধ ছিল ন—ৰ্তাহার উদারতাই তাঙ্কার বৈশিষ্ট্য ছিল । সেই জন্যই বাঙ্গালী পরিণত বয়সে র্তাহার তিরোভাবকেও অকালমৃত্যু বলিয়া মনে করিতেছে এবং করিতে থাকিবে। মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের মত বহুগুণশালী বাঙ্গালীর অভাব যে কখন বাঙ্গালার সামাজিক জীবনে পূর্ণ হইবে, এমন আশা করা যায় না। কেন না সেরূপ গুণসংযোগ সচরাচর হয় না । আজ তিনি আর নাই। যিনি দীর্ঘ ৩৪ বৎসরকাল বঙ্গদেশে বিপক্সের আশ্রয় ও সকল সৎকার্য্যে সহায় ছিলেন, তাহার মৃত্যু হইয়াছে। কিন্তু তিনি বাঙ্গালার গৌরবগিরির স্বর্ণচুড়ারূপে চিরদিন বাঙ্গালীর স্মৃতিতে "বিরাজিত থাকিবেন । তাহার দান পুণ্য প্রবাহিনী ধারায় অবগাহন করিয়া বাঙ্গালী আপনাকে পবিত্র জ্ঞান করিবে এবং যত দিন যাইবে ততই তাহার কীৰ্ত্তি উদয়াস্ত-অরুণ-রাগ-রঞ্জিত হিমাচল শৃঙ্গের মত বাঙ্গালীকে মহত্ত্বের স্বরূপ দেখাইয়া মচুন্যত্বের দ্বারা মহত্ব লাভ করিবার অাদশে আকৃষ্ট করিবে । আজ র্তাহার জন্ত শোকীর্ত হৃদয়ে তাহার সম্বন্ধীয় এই আলোচনা শেষ করিবার সময় মনে হইতেছে— । মহত্ত্ব গোমুখী মুখে করি প্রবাহিত— দয়ার পাবনী ধারা ; করি” প্রতিষ্ঠিত্ত— দানের আদর্শ নব ; লভিলে আশ্রয়, পূৰ্ণব্রত, আমরায়—তুমি মৃত্যুঞ্জয়। (উপাসনা হইতে গৃহীত)