পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর ਯੇਥਾਂ ननतिौ २४) ছাপিয়ে বিলি করেছিলেন এবং সেট ওদিকের প্রত্যেক কাগজে বের হয়েছিল। রামকৃষ্ণ মঠ পরিদর্শন করে হাসপাতাল বিভাগে কয়েকটা Bed দেবার ইচ্ছ। তার ছিল কিন্তু সেটা আর কাজে ঘটেনি। বৃন্দাবনের সার্বভৌম পণ্ডিতের সভাপতিত্বে এক পণ্ডিত সভায় তিনি *ভক্তি রত্নাকর” উপাধি পান । বৈষ্ণব দর্শন শাস্ত্রের গবেষণার জন্য তিনি মাসিক সাহায্য এতদিন যে, করে এসেছিলেন তার বিশেষ ফল হয়েছে দেখলাম । কয়েকজন এ বিষয় গবেষণা করে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন । , বৃন্দাবনে থাকা কালীন—“পুলিন কুঞ্জে” বহু লোকের সমাগম হ’ত। বাঙলার বাহিরে মহারাজা যে এত পরিচিত তা’ পূৰ্ব্বে জানতাম না—সে কথা আরো জানলাম হরিদ্বার গিয়ে । বৃন্দাবনে আমরা সবাই এক সঙ্গে বসে খেতাম—মহারাজার বৈবাহিক স্বৰ্গীয় হেমেন্দ্র বাবু ও বিষ্ণু বাবুও প্রত্যহ ওখানে আমাদের সঙ্গে খেতেন। সবাই না বসলে মহারাজা খেতে বসতেন না। একদিন বিষ্ণু বাবু র্তার কুঞ্জ থেকে আসতে প্রায় এক ঘণ্টা দেরী করলেন, মহারাজ সমান বসে তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন । আমি আর হেমস্তদা বিরক্তিত্তে মুখ চাওয়া চাওয়ি করছি—মনের ভাব বুঝতে পেরে মহারাজ বললেন— “জীবনে অনেক কিছুর জন্ত সহিষ্ণুতা শিক্ষা করতে হয় - কোনও একটা ঘটনা উপলক্ষ্য মাত্র ।” আমি লক্ষ্য করেছি—মাঝে মাঝে তার মুখ দিয়ে এমনিই একটা গুঢ় কথা বের হ’ত । আমার মনের এই বিরক্তি একদিন গভীর লজ্জায় আমাকে চিরদিনের জন্ত শিক্ষা দিয়ে গেল । সেদিন স্নান করতে নেমে দেরী হয়ে গেল। এসে দেখি সেই খাবার সামনে করে কাশিমবাজারের মহারাজা বসে