পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী যে বৃহৎ বাসখানি তিনি এনেছেন - তাতে আমার মত দরিদ্রেরও চড়তে আশঙ্কা ও দ্বিধা হতে লাগল। মহারাজা পাণ্ডাজীর কার্য্যতৎপরতার বহু তারিফ করে আগেই গাড়ীতে গিয়ে উঠলেন । আমি পাশেই বসলাম। মহারাজা আদেশ দিলেন— “খুব জোরসে চালাও— দশ বাজে হাম হুয়া পৌছানে মাঙ্গতা” শুনে ত আমার চক্ষুস্থির । মহারাজা বলেন কি ? এই ত বাসখানার অবস্থা— তাতে যদি জোরসে চলে তা হলে ত আর হাড় ক’খানা আস্ত থাকবে না। আমি মহারাজাকে উদ্দেশ করে বললাম—“শুনেছি এদিকের রাস্ত আগের চাইতে ঢের খারাপ হয়েছে- তার উপর বাসখানাও তেমন ভাল নয়— আস্তে আস্তে গেলেই ভাল হয় না কি ?” মহারাজা বিরক্তই হলেন- বললেন—“তুমি বড় Nervous l তাহলে মোটর না চড়ে গরুর গাড়ী চড়লেই হয়।” আর কোনও কথা হ’ল না— চারিদিকের অসংখ্য রমণীয় দৃশু, ময়ুর আর হরিণের দল দেখে সব ভুলে গেলাম । কিন্তু পথের কষ্টে এমনই শরীর খারাপ হয়েছিল যে গন্তব্য স্থানে পৌছে আর আমাকে উঠতে হল না। শয্যা নিলাম। বিদেশ– ভয়ও করতে লাগল। মহারাজা সাতপুকুরে স্নান করে পুণ্য অর্জন করবেন বলে প্রস্তুত—আমাকে খোজ করতেই হেমন্ত দা বললেন “সাবিত্রী নাইবে না—শরীরটা তার ভাল নয় ।” এখানে আমরা মহারাজার কুঞ্জেই এক বেলার জন্ত ছিলাম । আহারাস্তে আবার মোটরে ওঠা গেল। ফিরবার পথে—মহারাজকুমার মহিমচন্দ্রের সমাধি দেখবার ইচ্ছা আমার বহু পুর্বেই চিল । রাস্তার এসে মোটর দাড়ালে মহারাজা বললেন—“তুমি বড় কুমারের সমাধি দেখতে যেতে পারবে ?—অনেকখানি হাঁটুতে হ’বে কিন্তু ” “পারব” বলেই উঠে দাড়ালাম ।