পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-శి\9 - মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী এমনি করেই ত মামুষের সঙ্গে অতি অপরিচয়ের পথে প্রাণের সম্বন্ধ মধুর ও নিবিড় হয়ে ওঠে। চলার পথে এইটুকুই ত লাভ ! দু’চার দিন পরেই হরিদ্বার রওনা হওয়া গেল।–চারিদিকের যে প্রাকৃতিক শোভা তা বর্ণনা করবার এখানে অবকাশ নাই—তবে মহারাজার মধ্যে এই নৈসর্গিক দৃশু্যের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল— প্রকৃতির অসীম সৌন্দর্য্যের মধ্যে আপনাকে ডুবিয়ে দিয়ে তৃপ্তিলাভ করবার একটা প্রবল আকাজক্ষণ ছিল এ কথা যখনই তাকে গাড়ীর জানাল দিয়ে বাহিরের দিকে বিস্ময়াপন্ন অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতে দেখেছি তখনই মনে হয়েছে। চোখের সে অনন্ত অন্বেষণের চাহনী, মুখের সে আনন্দ উজ্জল মূৰ্ত্তি দেখে আমারও চোখে পলক পড়ত না । মহারাজা গায়ক ছিলেন একথা কোথাও শুনিনি–কিন্তু তার মৃদু মধুর গুঞ্জন শব্দে গান শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল এই হরিদ্বারের পথে । এই আত্মভোলা মানুষটিকে দেখবার ও বুঝবার যে কত দিক অাছে তাই ভেবে আমার শঙ্কা হয় যে—তার জীবনী লেখবার গুরু দায়ীত্ব তিনি নিজ হাতে আমার উপর দিয়ে গেছেন –তার মর্য্যাদা বুঝি আমি রাখতে পারব না । m হরিদ্বারে নেমে দেখি —ষ্টেশনে সন্ন্যাসীর মেলা—মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্রকে সসন্মানে তাদের মঠে অগিয়ে নিতে এসেছে । ওখানকার সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সব চাইতে র্যাদের স্থান উচুতে তাদেরই দলের বাঙালী সন্ন্যাসী স্বামী ভৈরবানন্দ, পুরোভাগে বন্ধ হস্তী, অশ্ব, আশা সোটা, সজ্জিত যান, বহুমুল্য রাজছত্র স্বর্ণনিৰ্ম্মিত দণ্ড ইত্যাদি নিয়ে । যে হাতিটা মহারাজকে নিয়ে যাওয়ার জন্ত এসেছিল, তার গায়ে অলঙ্কারের মূল্য স্থানকল্পে এক লক্ষ মুদ্ৰা ! এইভাবে ত মহারাজকে লস্বৰ্দ্ধনা করে সন্ন্যাসীরা নিয়ে গেলেন । দুই পাশে ফেনায়িত জন-সমুদ্র