পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

abア মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র ননদী দাওয়ার নীচে দাড়িয়ে থাকত—মহারাজা কেবলি বলতেন—“আপনারী উপরে উঠে আসুন ।” তারা বিনয়ের সঙ্গে প্রতিবাদ করে রাজ দর্শন করে চলে যেত। কুম্ভ মেলার ঠিক আগের দিন মহারাজা বললেন—“চল সাবিত্ৰী, ব্ৰহ্মকুণ্ডে স্নান করে, কাল মিছিল দেখতে হবে । একটা বাড়ীর ছাদ ভাড়া করে আসি।” সঙ্গে চললাম। ব্ৰহ্মকুণ্ডের চৌমাথা রাস্তার উপর একথানা বাড়ীর ছাদ ভাড় করার জন্য উঠা গেল । উপর থেকে নীচের দিকে তাকিয়ে আছি—হঠাৎ দেখলাম একজন শিখ যুবক যাকে বলে শাল প্রাংশু মহাভূজ, হঠাৎ জনসমুদ্রের আবৰ্ত্তে পড়ে গেল। তখন চারিদিক থেকে যাত্রীর দল ব্রহ্মকুণ্ডেয় পথে আসছে, তাদের পায়ের তলায় শিখযুবক ভবলীলা সাঙ্গ করে হয়ত বা কুম্ভমেলার অক্ষয় পুণ্য বিনা স্নানেই অর্জন করে স্বৰ্গস্থ হ’ল—কিন্তু এ দৃশু দেখে কাল কুম্ভমেলা দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ত আমার অন্ততঃ রইল না ; শরীর মন যেন অবসাদ ও উদ্বেগে ভরে উঠল। মহারাজকে সম্বোধন করে বললাম *মহারাজ, এর পরেও কি আপনি কাল মিছিল দেখতে আসবেন মনে করছেন ?” বিষন্ন ভাবে দীর্ষ নিঃশ্বাস ফেলে মহারাজ উত্তর দিলেন – “দেখা যাক, কি হয় ।”—ছাদ ভাড়া হ’য়ে গেল । সামনের একটা ছাদে দেখলাম উমাপ্রসাদ ( স্তর আশুতোষের পুত্র ) তার বাড়ীর সকলকে নিয়ে ছাদ ঠিক করতে ব্যস্ত—অল্প কথাবাৰ্ত্ত হ’ল—উমাপ্রসাদ । মহারাজকে অভিবাদন করলে—তিনি জিজ্ঞাসা করলেন—“স্তর, আশুতোষের ছেলে নয় ?” আমি বললাম –‘আপনি চেনেন ? “ই আমি ওঁদের সকলকেই চিনি । বলেই স্তর অtশুতোষের বহু গুণের. কথা বলে যেতে লাগলেন । আমি কখনও কোনও লোকের নিন্দাবাদ তার মুখে শুনিনি ; যার গুণ ব্যাখ্যান করার অাছে তার গুণ তিনি,