পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র ননদী २?→ পঞ্চমুখে গাইতেন কিন্তু যেখানে সে অবকাশ নেই সেখানে নিন্দ করার দুৰ্ব্বলতাকেও তিনি কখনও প্রশ্রয় দেননি। বহু কষ্টে প্রাণ বঁচিয়ে বাসার ফিরতে আমাদের বেলা ১টা বাজল । ঐদিন সমস্ত ক্ষণ মহারাজকে বিষন্ন দেখলাম, কে জানে তীর্থযাত্রী শিখযুবকের আকস্মিক মৃত্যু তার প্রাণে ব্যথার সঞ্চার করেছিল কি না। কুম্ভমেলার দিন। ভোর পাচটায় ঘুম থেকে চোখ মেলে দেখি কোমরে গামছা বাধা সামনে দাড়িয়ে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র । “কিছে তুমি যাবে না”—আমি বললাম—“কালকের দুর্ঘটনা দেখে আমার মনটা ভাল নেই-আমি আর ভীড়ে যাব না”—মহারাজা একটু হাসলেন মাত্র—কোনও উত্তর দিলেন না— মনে মনে একটু লজ্জাও পেলাম— এই ৬৮ বৎসরের বুদ্ধ যেখানে হাসিমুখে প্রস্তুত, সেখানে আমি যুবক হ’য়ে উৎসাহীন কেন ? কিন্তু ভীড় আমার বরদাস্ত হয় না । বাহিরে রাস্তার ধারে এসে দাড়াই আর শুনি—অমুক জায়গায় একজন পড়ে মারা গেছে— অমুকের মায়ের দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে— একজন যুবকের Heart fail করেছে— শুনছিলাম আর মহারাজা সম্বন্ধে একটা অজানিত আশঙ্কায় হৃদয় উদ্বেল হয়ে উঠছিল। মাঝখানে একবার হেমন্ত দা এসে খবর দিলেন-মহারাজা মেয়েদের নিয়ে (মহিমচন্দ্রের কন্যা শ্ৰীমতী অন্নপূর্ণা, জামাতা অমর বাবু ও পরিবারস্থ দু’এক জন হরিদ্ধারে মহারাজার অতিথি হ’য়েছিলেন । ) কিছুক্ষণ পরে একটা বিপুল জনস্রোতে কোথায় বা চোপদার আর কোথায় বা সিপাহী—লক্ষ লক্ষ নর নারীর মধ্যে কোথাও তার সন্ধনি পাওয়া যাচ্ছে না। তখন বেলা ৪টা—আমাদের তখন কি যে মনের অবস্থা তা প্রকাশ করবার নয়। পল গুণতে লাগলাম। প্রায় দু ঘণ্টা পরে খবর আসল— মহারাজা গঙ্গার পরপর দিয়ে আসছেন। আমি জটিল ও বেণী