পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to e মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী গঙ্গাগর্ভে নেমে গেলাম—ওখানকার গঙ্গার জল আড়াই কি তিন হাত, মাত্র গভীর। বেণী ও জটিলা পার হয়ে মহারাজার নিকট গেল । মহারাজার হাতে ছিল একটা ছাতি—সেইটা নিয়েই তিনি ঘণ্টায় ২৫/৩০ মাইল বেগ স্রোতের মধ্যে দিয়ে হেঁটে আসছিলেন –পাশে বেণী ও জটিলা, আমি এপারে জলে দাড়িয়ে । হঠাৎ মহারাজার পা হড়কে গল৷ পৰ্য্যস্ত জল, ছাতার মধ্যে জল ঢুকে মহারাজার দেহকে সেই স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় আর কি !—খুব ক্ষিপ্রহস্তে বেণী মহারাজাকে ধরে ফেললে –সে সময় কি যে মনের Tension তা বর্ণনা করা যায় না। মহারাজাকে ধরাধরি করে বাসায় আনা হল—গরম জলে পা ধুইয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চলতে লাগ,ল । সুস্থ হলেন আর বার রার ভগবানের নাম করতে লাগলেন, আমরা চারিপাশে দাড়িয়ে । রাত্রে র্তার সামান্ত জর হ’ল কিন্তু সেকথা জানতে দিলেন না—পরদিন গভীর রাত্রে হৃষিকেশ ও লছমনঝোলা যাবার ব্যবস্থা হয়ে গেল । হৃষিকেশ। থেকে গঙ্গা পার হ’য়ে হঁটিতে হ’ল প্রায় দেড় মাইল, মহারাজ সেই শরীর নিয়ে সমানে হেঁটে চললেন। লছমন ঝোলা দেখা ও সেখানে স্নান করার পর হয়িদ্বারের উপকণ্ঠে এসে যখন পৌছান গেল তখন বেলা ১ টা । একজন এসে খবর দিল শিখ মটর ড্রাইভারদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের দাঙ্গা হয়ে গেছে, খুনও নাকি হয়েছে ; সেই জন্ত মটর আর এগুতে দিচ্ছে না—এখন থেকে হেঁটে যেতে হবে। আবার হাটা মুরু হ’ল—সেও প্রায় দু মাইল রাস্তা। নিজের পা আর যেন চলছিল না—মনে মনে ভাবছিলাম—মহারাজার কি কষ্ট হয় না ? —সেইদিন রাত্রি থেকে মহারাজার খুব জর হল –পরদিন কুমারকে টেলিগ্রাম করতে চাইলাম – কিছুতেই তা মহারাজা করতে দিলেন না । বললেন “শুধু তাদের ব্যস্ত করা হবে—ক্লাস্তিতে জর হয়েছে সেরে যাবে।”