পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\\y মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী পাওয়া উচিত, নইলে পৃথিবীতে কিছুই ত চিরস্থায়ী নয়, আপনিও চিরকাল থাকবেন না, আমিও চিরকাল থাকুব না, একটা ঝাড় যদি গিয়ে থাকে, কি আর কর্ব ?” এই জাতীয় ঘটনা কতশত ঘটিয়াছে, তাহার । দেবোপম চরিত্রের কত দিক কত ঘটনায় যে স্ফুরণ হইয়াছে, লিখিয়া তাহার কত শেষ করিব ? বহরমপুরের জনসাধারণ কোন বিষয়ে অত্যন্তাভাব বোধ করিতেছে, এ কথাটা শুনিতে তিনি মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না ; ইহা তাকার পক্ষে চিরদিন অসহনীয় ছিল । তাহার প্রাণপ্রিয় বহরমপুরের জন্ত তিনি দুই লক্ষ আশী হাজার টাকা ব্যয়ে জলের কল স্থাপন করিয়া দিলেন, বহরমপুরের বালকদিগের শিক্ষালাভের জন্য এক লক্ষ বত্ৰিশ হাজার টাকা দিয়া কলেজিয়েট স্কুলের সুরমা আটালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিলেন । তিনি ; বহরমপুর কলেজে প্রতি বৎসর বহু হাজার টাকা দান করিতেন, বহরমপুরের বালিকাদিগের শিক্ষার পথ প্রশস্ত করিবার নিমিত্ত মহাকালী পাঠশালার যাবতীয় ব্যয়ভার নিজস্কন্ধে বহন করিলেন, করিয়াও তৃপ্ত হইতে পারিলেন না, সৈদাবাদ লর্ড হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় বহু ব্যয়ে স্থাপিত করিলেন, খাগড়ায় লণ্ডন মিশনারী সোসাইটর স্কুলের নূতন বাটী প্রস্তুতকালে প্রভূত অর্থ সাহায্য করিলেন, বহরমপুর আদশ জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রাণরক্ষণকল্পে মাসিক ১০০ টাকা সাহায্য করিতে লাগিলেন, এইরূপ আরও কতশত—কত বলিব ? কিন্তু বহরমপুরের কথা স্বতন্ত্র, বাঙ্গলাদেশের কয়টা বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সাহঙ্কারে বলিতে পারে যে, প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের সাহায্য ব্যতীত আজও বঁচিয়া আছে ? বৃহত্তর বঙ্গেরই বা কোন অংশ দ্বপভরে বলিতে পারে যে, অভাবে এই দানবীরের নাম একবারও স্মরণ করে নাই ? মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছেন, শিক্ষার জন্ত তিনি এক কোটী টাকা ব্যয় করিয়াছেন, কিন্তু আমি জানি,