পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজী স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী 8● মহারাজার পুঞ্জীভূত ব্যথা-ক্লিষ্ট অন্তর প্রতিনিয়তই তপ্ত-নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিত, অন্দরে যাইবার পূৰ্ব্বে বুক তাহ স্থা ক দুরু কঁপিয়া উঠিত—প চলিত না, দেহ অবসন্ন হুইয়া আসিত—আর যতক্ষণ সেখানে অবস্থান করিতেন বক্ষের সেই গুরু কম্পন অব্যাহত গতিতে চলিতে থাকিত –কিন্তু এজন্য কখনও তিনি আত্মহারা হইয়া স্বীয় কৰ্ত্তব্য হইতে বিচুত হয়েন নাই, কন্যাদিগের দুর্দশার জন্য র্তাহার নিজকৃত কোন অজানা পপিই দায়ী—এই বিশ্বাসে মঙ্গলময়ের বিধানের বিরুদ্ধেও কখন অভিযোগ প্রকাশ করেন নাই। গত আশ্বিন মাস হইতে র্তাহার ম্যালেরিয়া জর আরম্ভ হয় । দ্বিতীয় বার জর ভোগাস্তে আমাদের নিকট গল্প করেন, “দেখুন, আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি, আমার দাদা ( ৬উপেন্দ্র বাৰু) হঠাৎ আমার সঙ্গে দেখা কৰ্ত্তে এলেন, আমি বল্লাম, দাদা, এ রাজ্যভোগ তোমার, তুমি নাও, অামার এ ভাল লাগে না – দাদা হেঁসে উত্তর দিলেন, ‘না তুমিই ভোগ W. কর’।” মৃতজনের সহিত স্বপ্নে সাক্ষাৎকার, ও এবংবিধ কথোপকথনের কথা শুনিয়া উপস্থিত আমাদের সকলেরই মনে স্বতঃই কেমন খটকা লাগিল। কিন্তু তখনও বুঝি নাই—ভাবি নাই—ভাবিতে পারি নাই, যে সংসারে উদাসীন, রাজ্যভোগে বীতস্পৃহ এই যোগীন্দ্র এইভাবে তাহার অস্তিমের আভাস দিয়া এত শীঘ্রই তাহার অগ্রজের, পুত্রদ্বয়েব ও জামাতাদ্বয়ের সহিত পরলোকে চিরমিলনাকাঙ্খায় মহাপ্রয়াণ করিবেন। তাহার ঐহিক জীবনের শেষ সাধ অপূর্ণ রহিয়া গিয়াছে । তিনি তাহার আদরিণী পৌত্রীটকে বিবাহ দিয়া যাইতে পারিলেন না। ইদানীং তাহার কথাবার্তার মনে হইত আগামী মাঘ ফাত্তনের মধ্যেই পৌত্রটাকে লৎপাত্ৰস্থা করিতে পারিলেই তিনি যেন আন্তরিক মুখী হন।