পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ श्रे মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী তাহার সৌজন্ত, বিনয় ও সামাজিকতা এখনকার কালে দৃষ্টাস্তের স্থল। তিনি বিদ্যোৎসাহী ছিলেন, তিনি স্বয়ং বাণীর একনিষ্ঠ সেবকও ছিলেন। কিন্তু তাহাকে কেহ এ জন্য বৃথা গৰ্ব্ব অভিমানে উৎফুল্ল হইয়া ভদ্রতার গণ্ডী অতিক্রম করিতে দেখে নাই । দেশের শিল্প-বাণিজ্য সাহিত্য আদির উৎকর্ষসাধনে র্তাহার আস্তরিক উৎসাহ আগ্রহ ও দান প্রবৃত্তি উপমার স্থল ছিল, অথচ সে জন্য কখনও তাহাকে কেহ বৃথা গৰ্ব্বে স্ফীত হইতে দেখে নাই, উহাতে তিনি যে আত্মপ্রসাদ লাভ করিতেন, তাহা সঙ্গোপনে তাহার হৃদয়ের অস্তস্থলে লুক্কায়িত থাকিত, ধনি-নিধন-পণ্ডিতমূখনিৰ্ব্বিচারে আমন্ত্রিত অভ্যাগত তাহার রাজপ্রাসাদে সমান সমাদর প্রাপ্ত হইত, মহারাজা স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া সকলকে মিষ্ট বাক্যে তুষ্ট করিয়া পান-ভোজন করাইয়া আপ্যায়িত করিতেন। হিন্দুধৰ্ম্মে একান্ত নিষ্ঠা—বিশেষতঃ বৈষ্ণবধৰ্ম্মে আচল ভক্তি মহারাজার আর একটি বৈশিষ্ট্য ছিল । যে কেন্দ্রে তিনি বিচরণ করিতেন, তাহাতে র্তাহার ভিন্নরূপ হওয়াই স্বাভাবিক হইত। কিন্তু তিনি শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তের পরম অনুরক্ত দীনাতিদীন ভক্ত ছিলেন, তাই তিনি তাহার আদশের অমূল্য বাণী তৃণাদপি মুনীচেন’ কথাটকে নিজ জীবনে সার্থকতা দান করিয়া গিয়াছেন। শান্তিপুর ও নবদ্বীপে যাহারা তাহাকে অসংখ্য ভক্তমণ্ডলীর সহিত নগ্নপদে কীৰ্ত্তনানন্দে মাতিতে দেখিয়াছেন, তাহারাই বুঝিয়াছেন, এই মানুষটির মন কি ধাতুতে গঠিত ছিল। তাহার প্রেমাননো মত্ততার মধ্যে কৃত্রিমতার লেশমাত্র ছিল না। হিন্দুর সকল সদনুষ্ঠানে তাহার মুক্তহস্তে দানের কথা সকলেরই সুবিদিত। ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে আচারে অনুষ্ঠানে ভোগবিলাসবেষ্টিত রাজ্যেশ্বর হইয়াও তিনি সাধারণ শ্রেণীর মামুষের সঙ্গে যোগদান করিয়া আনন্দ লাভ করিতেন এবং সাধারণকে আনন্দ বিতরণ করিতেন । তাহার স্বভাবসিদ্ধ