পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q 8 মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র ননদী বিস্মিত । এই অপরিচিত লোক অনুমতি না লইয়াই অন্দরে অগ্রসর হয় কোন সাহসে । সে দৌড়াইয়া বাধা দিতে গেল । লোকটি হাসিয়া বলিল, “বাঃ ! মার কাছে যাচ্চি খেতে, তুমি বাধা দেবার কে ছে ছোকরা ? মা মা !” এমন সময়ে সদ্যোনিদ্রোথিত গৃহিণী ভিতর হইতে বলিলেন, “কে ডাকছে আমায় ?” বলিয়া আগন্তুককে দেখিয়াই শশব্যস্তে বলিলেন, “এস বাবা, এস” তাড়াতাড়ি আসন দিবার ধুম পড়িয়া গেল। লোকটি কিন্তু সটান সানের মেঝের উপর বসিয়া পড়িয়া আবদারের স্বরে বলিল, “ওসব থাক, কি খেতে দেবে বল দিকি ? অনেক দিন তোমার হাতের রান্না খাইনি মা ।” যুবকটি তাহার পর যখন পরিচয় পাইল যে তিনি কাশিমবাজারের মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র, তখন সে বিস্ময়ে অভিভূত্ত হইয়া পড়িল । এই যে গুরুপত্নীর প্রতি জননীর মত ব্যবহার, তাহার নিকট আড়ম্বর শূন্ত অহমিকাশূন্ত আহারের আবদার, ইহার মিষ্ট ব্যবহারের ও সম্বন্ধের তুলনা অধুনা কোথায় খুজিয়া পাইবে ? কবে বাল্যকালে কাছার নিকট কিছুদিনের জন্য বিদ্যাশিক্ষা করিয়াছেন, কিন্তু সেদিনের কথা মহারাজা সৌভাগ্য-সম্পদের দিনে ত একবারও বিশ্বত হন নাই । ইহাই মহত্ত, ইহার তুল্য মানুষের মধুর চরিত্র আর কি অঙ্কিত হইতে পারে, তাহা च्षांभद्रां छ{नि नां । মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র ভূতলে অতুল কীৰ্ত্তি রাখিয়া মহাপ্রস্থান করিলেন। তিনি ত বাঙ্গাল ও বাঙ্গালীর হৃদয় জুড়িয়া অধিষ্ঠান করিবেনই। কিন্তু বাঙ্গালী যদি তাহার মত সামাজিক, জনছিতব্ৰত, স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ ও দানবীর হইতে শিক্ষণ করে, তবেই তাছার স্মৃতিরক্ষার সার্থকভা সম্পাদিত श्व । 臺 勒 敬 {} 응용 দৈনিক বসুমতী, ১৩ই নভেম্বর । ১৩৩৬—