পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●● মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী হে মহাপুরুষ ! দুৰ্ভাগা জাতির সহস্ৰ অভাব ও বিপৰ্য্যয়ের মধ্যে, অনন্ত দারিদ্র্য ও অসীম দুঃখ বেদনার মধ্যে, অনশনে ক্ষীণ, অশিক্ষায় দীন, অজ্ঞতায় পরাধীন বাঙ্গালার জনসমাজে তোমার অনিৰ্ব্বাণ দানযজ্ঞের বহ্নি-শিখা আজ আকাশ স্পর্শ করিয়াছে, সেখানে.তুমি মহষ্যত্বের মহাতপস্তায় নিজের অজ্ঞাতে নিজে এমনি একটা স্থান করিয়া গিয়াছ ষে সেখান হইতে তোমার নিত্য পূজার শঙ্খধ্বনি শুনিতে পাইতেছি। দুদিনের পরম বন্ধু ! অবিরাম ধারাবর্ষণ, বঞ্চ-বিক্ষুব্ধ দুর্গমপথে নিরুপায় পথযাত্রীর পরমশরণ ছিলে তুমি,-বিপদ তোমাকে বিচলিত করে নাই, নিস্ফলতা তোমাকে অবসন্ন করিতে পারে নাই ; সমুন্নত মস্তকে তুমি মামুষের আদর্শপথে আপনার বলে আপনার পথ করিয়া গিয়াছ ; সেখানে তোমার পদচিহ্নের সঙ্গে তোমার জীবনের অনুপম মধুর স্মৃতিটুকু জড়াইয়া আছে—আগত ও অনাগত জীবন-যাত্রীর দল সেই লক্ষ্যেই আপনার পথ করিয়া লইবে—এই অসহনীয় দুঃখের মধ্যে এই টুকুই আমাদের সাত্বনা । তুমি যে রাজা সেকথা তুমি কোনও দিন কোনও কারণে কাহাকেও জানিতে দেও নাই । হে মহন্তত্বের মহাতাপস । রাজত্বে রাজার অধিকার, তুমি তোমার দেবদুর্লভ চরিত্রবলে আমাদের হৃদয়-রাজ্য চিরদিনের জন্ত জয় করিয়া গিয়াছ । মণিয়ত্ব রাজার কাম্য, তুমি ছিলে রাজরাজেশ্বর,—বিশ্বের রাজপথে ক্ষুদ্র মহতের সহিত তোমার নিত্য মিলন দেখিয়াছি, তাই সহস্ৰ হৃদয়-পদ্মে বিরচিত অম্লান বিজয়মালিকায় একমাত্র তোমারি অধিকার থাকিয়া গেল—তোমার কোটি কোটি নমস্কার । স্বায়ত্ত-শাসন, ১৩শ সংখ্যা।