পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९० মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র বেসরকারী সদস্যগণ কর্তৃক মনোনীত হইয়া তিনি ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য পদে নিয়োজিত হন । এই সময় রাউলাট বিলের আলোচনা কালে তিনি উক্ত বিলের সুতীব্র প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। কোন জমিদার সদস্য বিপুল জমিদারী ভোগ করিতে করিতে সরকারের কার্য্যে এরূপ তীব্র মন্তব্য প্রকাশ করিতে পারেন কিনা তাহা ভাবিবার বিষয় । তিনি এরূপ তেজস্বিতা ও সাহসিকতা এবং নিভীকতার সহিত র্তাহার মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন যে তৎকালে র্তাহার সহকৰ্ম্মী জমিদার সদস্যগণ সকলেই তাহার উক্তিতে বিস্মিত না হইয়া থাকিতে পারেন নাই । রাষ্ট্রীয় সভার সদস্য ১৯১৯ সালে মণ্টফোর্ড সংস্কার কার্য্যকরী হইবার পর, নূতন আইন অনুসারে তিনি রাষ্ট্রীয় পরিষদের সভ্য নির্বাচিত হন, এবং তথায় তিনি নিভীকভাবে দেশের ও দেশবাসীর জন্য আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন । মহারাজার পরলোক গমনে বাংলা দেশের যে ক্ষতি হইয়াছে তাহার পরিমাণ করা যায় না। বাংলা দেশের জমীদার শ্রেণীর মধ্যে তিনি প্রকৃত জমিদার এবং প্রকৃত ভূম্যধিকারী ছিলেন। প্রজানুরঞ্জন তাহার প্রকৃতিগত মহৎগুণ ছিল এবং অন্ত গুণাবলীর কথা আলোচনা না করিলেও বলা