পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজ্য লাভ ২৭ করিলে অপরের দুঃখ ও বেদন বুঝিবার শক্তি কাহারও হয় না, স্বয়ং করুণাঙ্গচিত্ত না হইলে ভগবানের সুবিমল করুণালাভ করিবার যোগ্যতা কাহারও হয় না । মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র স্বয়ং শিক্ষিত, দুঃখসহনশীল ও ভগবানে পরম ভক্তিমান ছিলেন তাই তিনি অপরের দুঃখ বুঝিতে পারিতেন এবং অকুষ্ঠিত চিত্তে ‘ধনানি জীবিতঞ্চৈব পরার্থে উৎসর্গ করিয়া আমল আনন্দ অনুভব করিতে পারিয়াছিলেন । এত মহৎগুণের অধিকারী ছিলেন বলিয়াই ভগবানে তাহার নিশ্চলা প্রীতি ও ভক্তি জন্মিয়াছিল এবং ভগবানের নামে তিনি কাদিয়া আকুল হইতেন । * - অত্যাচার ও নিৰ্য্যাতনের মধ্য দিয়াই মানুষের মহত্ব ও অতিলৌকিক ভাবরাশি বিকশিত হইয়া থাকে। দারিদ্র্যের অত্যাচার, অবস্থার নির্য্যাতন অদৃষ্টের নিৰ্ম্মম পরিহাস এই সকলের মধ্য দিয়াই মহারাজ সাধারণের সান্নিধ্যে উপস্থাপিত হইয়াছিলেন এবং মনে হয় বোধ হয় শুধু এই কারণেই অতুল গৌরব, অজস্র লোকের ভক্তি, অসংখ্য হৃদয়ের কৃতজ্ঞতার মধ্যে নিয়তির স্নেহহাস্ত্যের কনক আলোতে তিনি বিলীন হইয়া গেলেন । র্তাহার তিরোধান সম্পূর্ণ আকস্মিক এবং বজ্রাঘাতের ন্যায় মৰ্ম্মদাহী, বাংলদেশে এমন পল্লী নাই যে র্তাহার মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত হয় নাই । সুপ্রসিদ্ধ অমৃত বাজার পত্রিকায় তাহার মৃত্যুর সংবাদগুলি অতি বিস্তৃত ভাবে প্রকাশিত হইয়াছিল। উপযুপিরি