পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WO o মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র আমলা দিগকে শুস্ক দিতে হইত না বলিয়া তাহারা যে মূল্যে জিনিষ পত্র বিক্রয় করিতে পারিত, দেশী বণিকেরা শুল্ক দিয়া সেই মূল্যে কেন বেচা করিলে তাহদের মূলধন হইতে ক্ষতি হইয়া যাইত। প্রতিযোগীতায় কোম্পানীর আমলাদের নিকট দেশী বণিকেরা যে শুধু ব্যবসায় ক্ষেত্রে পরাজিত হইত তাহাই নহে ; পরন্তু তাহাদের ক্ষতির পরিমাণ এত অধিক হইত যে তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ একেবারে সর্ববস্বাস্ত হইয়া যাইত । ব্যাপারটি নবাবের চোখে ধরা পড়িয়া যায়। নবাব মীরকাশিম মসনদ পাইবার আশায় শ্বশুর হইলেও নবাব মীরজাফরকে সিংহাসনচু্যত করিবার জন্য যে ষড়যন্ত্র হয় তাহাতে যোগদান করেন এবং নবাবকে বঞ্চিত করিয়া নিজে সিংহাসনে আরোহণ করেন । এই কলঙ্কটুকু ভিন্ন নবাব মীরকাশেমের অন্ত কোন দোষ ছিল না। রাজ্য শাসক এবং প্রজাপালক হিসাবে তিনি অত্যন্ত যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন এবং যথাসম্ভব দ্যায়ের মর্য্যাদ। রক্ষা করিয়া চলিতেন । রাজ্য প্রাপ্তির পরেই তিনি বুঝিতে পারিয়া ছিলেন যে বাংলার নবাব শুধু নামে, কাজের নবাবী করা অসম্ভব । আশে পাশে কোম্পানীর নানাপ্রকার আব্দার, ওজুহাত, আইন, সর্জ ইত্যাদি অতিক্রম করিয়া নবাবী করা অসম্ভব । বিশেষতঃ ঘরের পাশেই কোম্পানীর আফিস—স্বাধীন ভাবে । কিছু করিতে গেলেই নানাপ্রকার বিবাদ বিসংবাদ বাধিয়া যায় । । এই সমস্ত বিবেচনা করিয়া তিনি বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ