পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশিমবাজার জমিদারী \OO সাহেব স্বীয় ছঃখ ব্যক্ত করিতেই কাস্তবাবু তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া লইয়া পুনরায় নিজের গৃহের দিকে চলিলেন। সেদিন আর বাজার করা হইল না । গৃহে ফিরিয়া কান্তবাবু স্বীয় পত্নীকে সমস্ত ব্যাপার অতি সংক্ষেপে বুঝাইয়া দিয়া ওয়ারেন হেক্টংসকে নিজের একখানি মাত্র জীর্ণ ঘরে একখানি ভগ্ন তক্তপোষের নীচে লুকাইয়া dN রাখিলেন এবং নিজে বাহিরে আসিয়া নবাবী ফৌজের গতিবিধি লক্ষ্য করিতে লাগিলেন। কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল সশস্ত্র উন্মত্ত নবাবী ফৌজ কোলাহল করিতে করিতে সেই পথে আসিতেছে। কান্তবাবু শঙ্কিতহুদয়ে কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি প্রণোদিত হইয়া দ্বারে দাড়াইয়া রহিলেন । নবাবী ফৌজ অগ্রসর হইতে হইতে পথে কান্তবাবুকে দেখিয়া কোন সাহেব সেই পথে গিয়াছে কি না জিজ্ঞাসা করিল। কান্তবাবু অকুষ্ঠিত চিত্তে কুটীল পথ দেখাইয়া দিয়া বলিলেন, “ঐ পথে একজন সাহেব দৌড়াইয়া পালাইয়া গিয়াছে। ফৌজ কোলাহল করিতে করিতে সেইপথ দিয়া চলিয়া গেল । ঘরে ফিরিয়া কান্তবাবু দেখিলেন, ক্ষুধায় ও পরিশ্রমে সাহেব অত্যন্ত পরিশ্রান্ত হইয়া অবসন্নভাবে পড়িয়া আছে । কাস্তবাবুর ঘরে তখন কোন খাদ্য সামগ্রী ছিল না। কেবলমাত্র আমানির গৰ্ত্তে দুটিমাত্র আমানি (পাস্তাভাত ) ছিল । নিরুপায় হইয়া কাস্তবাবু হেষ্ট্রংসকে ঐ অামানি খাওয়াইলেন এবং প্রচুর পরিমাণে আমানির জল পান করাইলেন। তিন । \O