পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\O8 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র দিনের অনাহার ও পরিশ্রমে নিরতিশয় কাতর ওয়ারেন হেষ্টংস আমানির জল ও আমানি ভোজন করিয়া কথঞ্চিৎ মুস্থ হইলেন । সে রাত্রি হেষ্টংস কাস্তবাবুর পর্ণকুটীরে অতিবাহিত করিয়া পরদিন প্রত্যুষে কলিকাতা রওনা হইলেন । যাইবার সময় নিজের হস্তের অঙ্গুরী খুলিয়া কান্তবাবুর হাতে দিয়া বলিলেন—“আমি কোম্পানির কৰ্ম্মচারী, তুমি আমার প্রাণ রক্ষা করিয়াছ । আমার নাম ওয়ারেন হেষ্টংস—যদি কখনও আমার মুদিন হয় তবে কলিকাতায় আমার সঙ্গে দেখা করিও । জীবন রক্ষার ঋণ যদি কিছু পারি পরিশোধ করিব।” ওয়ারেন হেষ্টংস স্বীয় প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিয়াছিলেন। গোলযোগ থামিয়া গেলে কিছুদিন পরে ওয়ারেন হেষ্টংস কোম্পানীর গভর্ণর জেনেরল হইলেন । এই সময় পাড়া প্রতিবেশীর নিতান্ত আগ্রহাতিশয্যে কান্তবাবু কলিকাতায় গিয়া ওয়ারেন হেষ্টাংসের দরবারে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন । ওয়ারেন হেষ্টংস জীবনদাতাকে ভুলিতে পারেন নাই। কান্তবাবুকে । দেখিবামাত্র তিনি যথোচিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক তাহাকে অভ্যর্থনা করেন এবং তিনি কি চান তাহা জিজ্ঞাসা করেন । কান্তবাবুর প্রতিবেশীরা তাহাকে বিপুল অর্থ ও রাজত্ব প্রার্থনা করিবার উপদেশ দিয়াছিলেন ; কিন্তু নিলোভ কাস্তবাবু কোনরূপে র্তাহার জীবিক সংস্থানের একটি উপায় করিয়া দিবার জন্ত হেষ্টংসকে অনুরোধ করেন।