পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o n মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র তাহার অনেক দানের কার্য্যে সফলতা দেখা যায় নাই, অনেক লোককে তিনি বিনা বিচারে দান করিয়াছেন, এবং অত্যধিক অবিচারিত দান করিয়া পরিশেষে তিনি নিজে নিঃস্ব ও ঋণগ্রস্থ হইয়া পড়িয়াছিলেন বলিয়া অনেকের মুখে আক্ষেপ শুনা যায় ; কিন্তু তিনি নিজে কখনও সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নাই । একদিন অল্প কথায় এবিষয়ে তিনি র্তাহার নিজ আন্তরিক ভাব প্রকাশ করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়—কোন প্রসঙ্গে পরিষদের কাৰ্য্যের কাঠিন্তের কথা উঠিলে বলিলেন—“দেখুন, আগে কৰ্ম্মী, তার পরে অর্থ ও তৎপর কৰ্ম্ম ; কিন্তু কৰ্ম্ম হইলেই যে ফল হইবে তাহা নহে । ভারতীয় সাধনার আর একটা বিশেষ লক্ষণ—সৰ্ব্বভূতে সমদর্শন ; আমরা ভারতের ধৰ্ম্ম সাধনারই সাধারণতঃ বড়াই করিয়া থাকি ; কিন্তু প্রায় সকল দেশ ও সকল জাতির মধ্যে এই ধৰ্ম্ম সাধনার অল্পাধিক বিকাশ হইয়াছে ; জ্ঞান ও কৰ্ম্ম সাধনায় পৃথিবীর অনেক দেশ অনেক সময় উন্নতি দেখাইয়া গিয়াছে ; কিন্তু যে অধ্যাত্মদৃষ্টি-বলে সকল বস্তুতে সমান জ্ঞান—সকলই এক পরম ব্রহ্মের অংশ বলিয়া অনুভূত হইয়াছে, তাহা এক ভারতেরই নিজস্ব । স্বগীয় মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র এই তত্ত্বটা কিরূপ হৃদয়ে উপলব্ধি করিতেন, তাহা র্তার একদিনের একটী ছোট্ট কথাতে প্রকাশ পায়—বৃন্দাবনে বানর বিতারণ লইয়া এক আন্দোলন সম্প্রতি হইয়াছিল, কলিকাতা এলবার্ট হলে ইহার এক প্রতিবাদ সভা হয় ;