পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র বাঙ্গালার কয়েকজন সিদ্ধ কল্প মহাপুরুশের দর্শন ও উৎসাহ লাভের অবসর হইয়া আসিতেছে । বাঙ্গলা ভারতীয় সাধনার শেষ পরিণতি ভূমি—ন্যায় বেদান্তের জ্ঞানগরিমা এখানেই শেষ বিকাশ লাভ করিয়াছে, চৈতন্য রামকৃষ্ণের আবির্ভাব এ যুগে এইখানেই হইয়াছে, বিবেকানন্দের বজবাণী এখানে নির্ঘোষিত হইয়াছে, রবীন্দ্র-অরবিন্দ-জগদীশের শেষ সাধনা এখনও চলিতেছে। এতদ্ব্যতীত আরও অনেকে বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন সাধনায় রত রহিয়াছেন । অন্যত্র তাহা তুল্লভ । ভরসা হয় ইহাদের সমন্বয়ে অদ্ভূত ফল উৎপন্ন হইবে । হাবড়ার প্রাচীন উকীল শ্ৰীযুক্ত পরেশনাথ দত্ত মহাশয় গুরুকুল-শিক্ষা প্রণালীর বিষয় জানিবার জন্য আমাদের সহিত সাক্ষাত করিতে চাহেন, তাহাতে আমরা যাইয়া তাহার বাড়ীতে সাক্ষাৎ করি । তখন যে সকল বিষয়ের পর্য্যালোচনা হয়, তাহাতে তিনি বলেন, চলুন আপনাকে লইয়া মহারাজের নিকট যাই, তিনি ইহাতে অত্যন্ত সন্তোষ লাভ করিবেন। আমরা বলিলাম— ‘মহারাজের নিকট লোকে অর্থ আকাজক্ষা করিয়াই যায়, ইহা । মনে হয় ; কোন কাৰ্য্য উপলক্ষে যদি যাওয়া যায়, তবেই যাইব ; কিন্তু তেমন কাৰ্য্যত আমাদের কিছু হয় নাই ।” মহারাজের দর্শন লাভ এযাবত মাত্র একদিন আমাদের হইয়াছিল—১৯০৫ খ্ৰীঃ অব্দের কলিকাতা টাউন হলের সেই ৷ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের মহা সভায় সভপতির আসনে । তৎপর তার বিশেষ দানের কথা সৰ্ব্বদা শুনিতাম। এক্ষণে সৰ্ব্বস্ব