পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজার উচ্চ মনোবৃত্তি 8 ○ দান করিয়া নিজ সম্পত্তি পরের হাতে দিয়া বসিয়াছিলেন, তাহাও জানিয়াছিলাম । রাচি ব্রহ্মচৰ্য্যবিদ্যালয় । “প্রায় তিনমাস পরে গত বৎসর আশ্বিন মাসে যখন রাচি ব্রহ্মচর্য্যবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদিগের সম্মিলনসভা হয়, তখন মহারাজের দ্বিতীয়বার সাক্ষাৎ দর্শন আমাদিগের ঘটে । বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকগণ কলিকাতা আর্য্যসমাজমন্দিরে আসিয়া ছিলেন ; আচার্য্য সত্যানন্দজী আমাকে অন্য একটী কাজে সন্ধ্যার সময় তথায় তাহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিতে বলিয়াছিলেন । আমরা গিয়া দেখি এক সভার আয়োজন ; মহারাজা সভাপতি, মহারাজকুমার শ্রীমান শ্রীশচন্দ্র, রাচি ব্রহ্মচর্য্য বিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ ও প্রাচীন-নূতন অনেক ছাত্র উপস্থিত আছেন। দূরে বসিয়া ইহাদের অনেকের বক্তৃত৷ শুনিতেছিলাম ; মহারাজকুমার ভারতীয় সাধনা বা সংস্কৃতি (culture) ও তন্মুলে শিক্ষার বিষয়ে তখন যে সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ বক্তৃতা করেন, তাহাতে বড় আনন্দ লাভ করিয়াছিলাম, তাহাতে র্তাহার শিক্ষা ও পারিবারিক সংস্কারের উপর শ্রদ্ধা বদ্ধিত হইয়াছিল । তাহার পর স্বামী সত্যানন্দজীর অনুরোধক্রমে আমাদিগকে কিছু বলিতে হয়—মনে হয়, গুরুকুল শিক্ষাপ্রণালী ও ভারতীয় সাধনার ভাবে এদেশে শিক্ষাকে ব্যাপক ভাবে সঞ্জীবিত করিবার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে কিছু