পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8W3 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র মহারাজা বাহাদুরের প্রস্তাবানুসারেই গৃহীত হইয়াছে ; যেমন ( ১ ) শিক্ষায় অর্থকরী ও কার্য্যকরী বিষয়ের বিশেষ স্থান থাকা চাই । ( ২ ) ভারতীয় সাধনা ও প্রস্তাবিত শিক্ষা পদ্ধতি সম্বন্ধে দেশবাসীগণের যে সকল অভিমত পাওয়া গিয়াছে, তাহ দেশ মধ্যে বিস্ত তরূপে প্রচার করিতে হইবে। আর এই প্রচারকার্য্য উপলক্ষ করিয়াই “ভারতের সাধনার’ উৎপত্তি হইয়াছে । জাতীয় সাধনায় মহারাজা “আজ ভারতীয় সাধনার নামে লোকে প্রত্যয় হারাইয়াছে ; দেশের শিক্ষা দীক্ষা সকলই উহার প্রতিকুল। ভিতর ও বাহির হইতে নানাপ্রকার আঘাত ও আক্রমণ উহার উপর হইয়া আসিতেছে ; এ সময় ইহার সমর্থনে কিছু করিতে যাওয়া যে কতখানি কঠিন তাহা সকলেই বুঝিয়া থাকেন, পদে পদে নৈরাশ্য আসিয়া ঘেরিতে চাহে ; উৎসাহ খুব কমই দেখিতে পাওয়া যায়। মহারাজা বাহাদুর জীবন-ব্যাপী বহু সদনুষ্ঠানে যোগ দিয়াছেন—এ কালে এদেশে খুব কম সৎকাৰ্য্য হইয়াছে, যাহাতে র্তাহার আন্তরিক সহযোগ ও অজস্র দান না হইয়াছে । তাহার পরিণাম দেখিয়া তিনি একালে কতকটা নৈরাশ্য প্রকাশ না করিতেন এমন নয় ; বিশেষ করিয়া বৰ্ত্তমান সময় যে নবীন আন্দোলন সকল চলিতেছে, তাহার ব্যভিচার দেখিয়া সময় সময় ক্ষোভ প্রকাশ করিতেন । কিন্তু জাতীয় সাধনা