পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - و اوl\ আন্তরিক ঘৃণা করিতেন এবং সৰ্ব্বদাই ক্ষমা ও করুণার যোগ্য বলিয়া মনে করিতেন । আর এক শ্রেণীর লোক আছে — - “প্রতিজ্ঞায় কল্পতরু সাহসে তুর্জয় কার্য্যকালে খোজে সবে নিজ নিজ পথ—” এই শ্রেণীর লোক যেমন সাধারনের কোন প্রকৃত হিতসাধন করিতে পারেন না সেইরূপ সাধারণের নিকট কোনও প্রকার বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা লাভ করিতে পারেন না । পরস্তু প্রকৃত কাজ করিবার শক্তিও ইহাদের কখন থাকে না । লোকলজ্জা, রাজরোষ,স্বার্থহানি ইত্যাদি নানারূপ দুশ্চিন্তায় ইহাদের কৰ্ম্মশক্তি লোপ পাইয়া যায়। তখন ইহারা বরং বিপরীত কৰ্ম্মই করিয়া বসেন । অনেকে এইরূপে আমাদের দেশের সবর্বনাশ সাধন করিয়া গিয়াছেন । কিন্তু সুখের বিষয় এই যে সাধারণের স্বার্থহানি করিয়া ইহারা বিশেষ এক শ্রেণীর নিকট ষে সম্মান পাইবার প্রত্যাশা করিয়াছেন তাহা কখনই লাভ করিতে পারেন নাই । র্তাহারা বিশেষ করিয়া অপমানিতই হইয়াছেন । বিনা আন্তরিকতায় প্রকৃত কাজ হয় না এবং প্রকৃত কাজ করিতে না পারিলে কেহ কখনই লোকের হৃদয় জয় করিতে পারে না । মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নাম ও যশের অপেক্ষা না রাখিয়া নিজের সুবিবেচনা অনুসারে সাধ্যমত এবং কখনও বা সাধ্যাতীত রূপেও সাধারণের কার্য্যে আত্মনিয়োগ করিয়া সফলতা ও যশ, দুইই অর্জন করিয়াছেন । বিগত ২০২৫ বৎসর কাল পর্য্যন্ত তিনি সমানভাবে একই নীতি অনুসারে সাধারণের