পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র “বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় রেলট আইন বিধিবদ্ধ হইবার দিন পূৰ্ব্বাহ্নে ও অপরাহ্নে সভার অধিবেশন হইয়া গেল । ভারতীয় সদস্যেরা একের পর একজন প্রস্তাবিত আইনের প্রতিবাদ করিলেন। বড়লাট লর্ড চেমসফোডের জিদ– সেইদিনই আইন পাশ করিবেন। তাই সন্ধ্যায় আবার অধিবেশন হইল । তখনও কাজ শেষ হইল না । রাত্রিতে আবার অধিবেশন । তখন বুঝা গিয়াছে, সরকার পক্ষ ভোটের আধিক্যে আইন পাশ করিয়া লইবেন এবং সেইজন্য দিল্লীর দারুণ শীতে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বাঙ্গলার অন্য প্রতিনিধিরা আর রাত্রির অধিবেশনে গমন করিলেন না। কিন্তু কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ মহারাজ শেষপর্য্যন্ত উপস্থিত থাকিয়া রাত্রি ১ টার সময় বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়া তবে গৃহে ফিরিলেন । মণ্টেগু-চেমসফোড শাসন সংস্কারের পূৰ্ব্বে বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় যে সকল ভারতীয় সদস্য শাসন সংস্কার চাহিয়া বড়লাটের কাছে পত্র লিখেন, তাহাদিগের তালিকায় প্রথম সাক্ষর—মহারাজা নন্দীর । অন্ত স্বাক্ষরকারিদিগের মধ্যে ছিলেন—সার দীনসা ওয়াচ, ভূপেন্দ্রনাথ বম্ব, পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য, শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী, সার তেজবাহাদুর সপরু, সার ইব্রাহিম রহিমতুল্লা, সার নরসিংহেশ্বর শৰ্ম্ম, রায় সীতানাথ রায় বাহাদুর ও মামুদাবাদের মহারাজা । {