পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত্রে বিশেষত্ব br> ছিলেন । রাজা বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—কৈ, “আপনি বিদ্রোহীদিগকে ধ্বংশ করিবেন বলিয়া ছিলেন, এখন দেখিতেছি ইহারা প্রত্যেকেই জীবিত আছে।” মন্ত্রী বলিলেন, “মহারাজ, আমি বিদ্রোহীদিগকে সত্যই ধ্বংস করিয়াছি। র্যাহারা বিদ্রোহ করিয়াছিলেন র্তাহারাই শ্রেষ্ঠ রাজভক্ত প্রজারূপে আবার পুনর্জন্ম লাভ করিয়াছে। ই হার কেহই ত বিদ্রোহী নহেন । শুনা যায় রাজাকে এজন্ত কোনদিনও অনুতাপ করিতে হয় নাই । মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রও এই প্রকৃতির লোক ছিলেন । অবাধ্য দাসদাসীগণ র্তাহার আচরণে নিজেরাই স্বেচ্ছায় তাহার চরণতলে মস্তক লুটাইয়া আনন্দ লাভ করিত। বিদ্রোহ বা অবাধ্যতা—সে অনেক দূরের কথা ;—মহারাজা যে কখনও কাহার সহিত উচ্চকণ্ঠে কথা পর্য্যন্ত বলিতেন না । দিল্লীদরবারে নিমন্ত্রিত হইয়া মহারাজ দরবারে যোগদান করিবার জন্য একবার প্রায় দশ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি সুদৃশু পোষাক প্রস্তুত করান। এই পোষাক প্রস্তুত হইয়৷ আসিলে মহারাজা তাহার খাস খানসামা’ পরাণকে ইহা যত্বপূর্বক যথাস্থানে রাখিয়া দিতে আদেশ করেন। এই পরাণের কথা পূৰ্ব্বে একবার উল্লেখ করা হইয়াছে। পরাণ বহুদিনের প্রাচীন খানসামা। মহারাণী স্বর্ণময়ীর সময় হইতে পরাণ রাজসংসারে কাজ করিতেছে ; সংসারে সকল বিষয়েই তাহার কিছু না কিছু প্রভুত্ব ছিল । ט\