পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৩

তাহাতে হরি হোড়ের বসতি। হরি হোড় অতি বড় ধনবান এবং পূণ্যশীল অত্যন্ত ধার্ম্মিক লক্ষ্মী সর্ব্বদা স্থিরা হইয়া হরি হোড়ের নিবাসে বসতি করেন। বহুকাল এইরূপে গত হইল হরি হোড়ের পরিবার অতি বিস্তর সর্ব্বদা বিবাদ করিতে প্রবর্ত্ত বাটীর মধ্যে হাটের কোলাহলের ন্যায় লক্ষ্মী বিবেচনা করিলেন এই বাটীতে আর তিষ্ঠান গেল না অতএব আমার পরম ভক্ত ভবানন্দ মজুমদার তার বাটীতে গমন করি ইহাই স্থির করিয়া হরি হোড়ের বাটী হইতে ভবানন্দ মজুমদারের বাটীতে চলিলেন। পথের মধ্যে স্মরণ হইল নদীর নিকট ঈশ্বরী পাটনী আছে সে আমার অনেক তপস্যা করিয়াছে তাহাকে সাক্ষাৎ দিয়া বর প্রদান করিয়া পশ্চাৎ মজুমদারের বাটীতে যাইব। এই চিন্তা করিয়া পরম সুন্দরী এক কন্যা হইলেন কুক্ষি দেশে একটি ঝাঁপী লইয়া নদীর নিকটে যাইয়া কহিলেন ঈশ্বরী পাটনী আমাকে পার করিয়া দেহ। ঈশ্বরী পাটনী কহিলেক মা তুমি কে অগ্রে আমাকে কহ পশ্চাৎ পার করিব ইহা শুনিয়া হাস্য করিয়া কহিলেন ঈশ্বরী আমি ভবানন্দ মজুমদারের কন্যা শ্বশুরালয়ে গিয়াছিলাম সেখানে বিবাদের জ্বালাতে তিষ্টিতে পারিলাম না এখন পিত্রালয়ে যাইতেছি। ইহা শুনিয়া ঈশ্বরী পাটনী কহিলেক মা তুমি মজুমদার মহাশয়ের কন্যা নহ তাহার কন্যা হইলে এই বেশে একাকিনী কেন যাইবা কিন্তু আমার অন্তঃকরণে উদয় হইতেছে তুমি লক্ষ্মী মজুমদারকে হৃতার্থ করিতে গমন করিয়াছ