পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৪

আমি অতি দুঃখিনী আমাকে আত্ম পরিচয় দিউন। তাহাতে লক্ষ্মী হাস্য করিলেন ঈশ্বরী পাটনী পরম আহ্লাদে নৌকা শীঘ্র আনিয় কহিলেক মা নৌকায় বৈশ। লক্ষ্মী নৌকায় বসিয়া দুই খানি পদ জলে রাখিলেন। ঈশ্বরী পাটনী কহিলেক মা গো জলে নানা হিংস্রক জন্তু আছে কি জানি পাছি পদে দংশন করে পা দুই খানি তলিয়া বৈশ। তাহাতে লক্ষ্মী কহিলেন পদ কোথায় রাখিব? ঈশ্বরী পাটনী কহিলেক পা দুই খানি জল সেচনির উপরে রাখ। বিশ্ব মাতা ইহা শুনিয়া জল সেচনিতে পদ রাখিলেন জল সেচনিতে পদ স্পর্শ হইতেই সেচনি স্বর্ণ হইল। ঈশ্বরী পাটনী দেখে সেচনি সোনা হইল তখন অন্তঃকরণে বিবেচনা করিলেক ইতি সামান্যানন জগৎ জননী, ছল করিয়া আমার নিকট আসিয়াছেন ঈশ্বরী পাটনী লক্ষ্মীর পদ নত হইয়া প্রণাম করিয়া বহুবিধ স্তব করিলেক তখন লক্ষ্মী হাস্য করিয়া কহিলেন ঈশ্বরী পাটনী তুমি আমার অনেক তপস্যা করিয়াছ আমি বড় বাধ্য আছি বর যাচ্‌ঞা কর। ঈশ্বরী পাটনী কহিলেক মা গো তোমার হৃপায় আমার সকল পূর্ণ হইল যদি বর দিবেন তবে এই বর দেওন যে আমার সন্তান যাবৎ থাকিবেক কেহ দুঃখ না পায় এবং দুগ্ধ ভাত খাউক। তথাস্তু বালিয়া লক্ষ্মী অন্তর্দ্ধান হইলেন॥

 পশ্চাৎ ঈশ্বরী পাটনী আনন্দ সাগরে মগ্না হইয়া ভবানন্দ মজুমদারের বাটীতে যাইয়া মজুমদারের গৃহিণীকে