প্রশংসা করিলেক। আরাধনার নিয়ম এক বৎসর তা হা পূর্ণ হইলে মহতী ঘটা করিয়া যজ্ঞ করিলেন। কিঞ্চিৎ কাল পরে এক দিবস রাত্রে রাজা রঘু রাম রাণীর সহিত অন্তঃপুরে শয়ন করিয়াছেন রজনী শেষে রাণী অপূর্ব্ব স্বপ্ন দেখিয়া চৈতন্য হইয়া রাজাকে গাত্রোত্থান করাইলেন রাজার চৈতন্য হইলে পরে নিবেদন করিলেন হে মহারাজ আমি এক আশ্চর্য্য স্বপ্ন দেখিলাম। রাজা কহিলেন কি স্বপ্ন দেখিয়াছ? রাণী কহিলেন আমি নিদ্রায় ছিলাম এক জন অপূর্ব্ব পুরুষ আসিয়া আমাকে কহিলেন আমি তোমার পুত্র হইব আমা হইতে তোমরা অনেক সুখী হইবা এবং যাবদীয় লোক তোমাকে সুবর্ণ গর্ব্ভা কহিবেক যে হেতু আমাকে প্রসব হইবা আমি কহিলাম আপনিকে তাহাতে কহিলেন তোমরা যাহার আরাধনা করিয়াছিলা আমি তাহার অনুগৃহিত তোমার পুত্র হইতে আমাকে আজ্ঞা হইয়াছে ইহা বলিয়া অতিক্ষুদ্র মূর্ত্তি ধারণ করিয়া আমার মুখ মধ্যে প্রবেশ করিলেন। রাজা রঘু রাম রায় স্বপ্নের বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া মহা আনন্দার্ণবে মগ্ন হইয়া রাণীকে কহিলেন তোমার অপূর্ব্ব বালক হইবেক অদ্য তোমার গর্ব্ভাধান হইল এই কথা অন্যকে কহিবা না। কিঞ্চিৎ কাল পরে রাণীর গর্ব্ভ প্রচার হওনে পাত্র মিত্র আত্মীয় বর্গের সমূহ আনন্দ হইল দিনে ২ নানা প্রকার উৎসাহ হইতেছে। সময় ক্রমে রাণীর প্রসব বেদনা উপস্থিত হইল এই সম্বাদ রাজা শুনিয়া জোতিষ শাস্ত্রে মহামহোপা
পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১
