পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩১

করিলেন এবং সৈন্যের থাকনের স্থান করিলেন বড় ২ কামান দুই পার্শ্বে রাখিলেন হঠাৎ পুরমধ্যে শত্রু প্রবেশ করিতে না পারে তৎ পরে অপূর্ব্ব অট্টালিকা ও পরে বাদ্যোদ্যম তার পরে অতি উচ্চ অট্টালিকা তাতে ঘড়ি তদূর্দ্ধে ঘণ্টা তার পর চারি দরজা মধ্যে সদাগরেরদিগের থাকনের স্থান এবং হাট নানা জাতীয় দ্রব্যের ক্রয় বিক্রয় হইবেক তন্মধ্যে বিস্তারিত পথ কিঞ্চিৎ দূরে গিয়া এক অট্টালিকা তাতে নানা জাতীয় যন্ত্র লইয়া যন্ত্রীরা বাদ্যোদ্যম করিবেক পরে রাজবাটী প্রথম এক চতুঃসীমা দক্ষিণ দ্বারী এক অট্টালিকা তাহাতে রাজকীয় ব্যাপার হইবেক। তিন পার্শ্বে অট্টালিকা তাতে ভৃত্যেরা থাকিবে। পরে এক চতুঃসীমা তাতে ঈশ্বরের আলয় অপূর্ব্ব রম্য স্থান সহস্র ২ লোকে দর্শন করিতে পারে। পরে একখান পুরী তাতে মহারাজার বিরাজ করণের স্থান। চারি দিগে অট্টালিকা পরে অন্তঃপুর অতি বৃহৎ বাটী নানা স্থানে নানা প্রকার অট্টালিকা। অন্তঃপুরের কিঞ্চিৎ দূরে এক পুষ্পোদ্যান চতুর্দ্দিগে প্রাচীর মহারাণীপ্রভৃতি পুষ্পোদ্যানে গমন করিতে পারেন পুষ্পোদ্যানে নানা জাতীয় পুষ্প তন্মধ্য স্থানে এক অট্টালিকা তাহাতে বসিয়া রাণী নৃত্যকীরদিগের নৃত্য দর্শন করেন এবং গীত বাদ্য শ্রবণ করেন। পশ্চিম দিগের যে পথ সেই পথ দিয়া কিঞ্চিৎ গমন করিলে এক ধর্ম্মশালা সে স্থানে অন্ধ অতুর পঙ্গু এবং উদাসীন যে কেহ উপনীত হইবেক যার যে স্বেচ্ছা আহারের দ্রব্য পাইবেক ভাণ্ডার