পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩৩

গমন করিয়া নবাব সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যথেষ্ট শিষ্টাচার করেন এবং নানা জাতীয় ভেটের দ্রব্য নবাবকে দেন। তখন নবাব আলাবৃদ্ধি খান অতিবড় ধর্ম্মাত্মা সকলের প্রতি দয়ালু পুণ্যশীল সকল রাজারা রাজকর নবাবকে দিয়া সুখেতে কাল ক্ষেপণ করিতেছেন। রাজ্যোৎপাত কাহারু নাই যে যেমন মনুষ্য তাহাকে সেই রূপ নবাবের হৃপা কিন্তু নবাব সাহেবের পুত্র নাই এক কন্যা কন্যার প্রতি নবাব সাহেবের অতিশয় স্নেহ। কিছু কালানন্তরে নবাব সাহেবের এক দৌহিত্র হইল নাম রাখিলেন স্রাজেরদৌলা নবাব সাহেবের বাসনা দৌহিত্র সর্ব্বদাই নিকটে থাকে এই রূপে কিছু কাল যায় স্রাজেরদৌলা অতিবড় দূর্ব্বৃত্ত হইলেন যাহা মনে আইসে তাহাই করেন কেহ বারণ করিতে পারে না। নবাব সাহেবের পাত্র মহারাজ মহেন্দ্র এবং আর ২ প্রধান ২ চাকর অনেক আছে সকলেই এক হইয়া নবাব সাহেবকে নিবেদন করিলেন স্রাজেরদৌলার অতিশয় দৌরাত্ম্য করিতেছেন ইহার আপনি উপায়ান্তর করুন তার পর নবাব সাহেব স্রাজেরদৌলাকে ডাকাইয়া কহিলেন তুমি যাবদীয় লোকের উপর দৌরাত্ম্য করহ এ অতিমন্দ কর্ম্ম সাবধান কদাচ মন্দ ক্রিয়া করিও ন। এই রূপ শাসিত করণে স্রাজেরদৌলা প্রধান পাত্রগণের দিগকে আহ্বান করিয়া দমন করিলেক আমি যে কার্য্য ররি তাহা যদি নবাব সাহেবের কর্ণ গোচর হয় তবে তোমারদিগের যথেষ্ট দণ্ড করিব এবং একথা নবাব সা

E