পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩৫

রদৌলা নবাব থাকিলে কাহারো কল্যাণ নাই অতএব কি হইবে কোথা যাব ইহা ভাবিয়া স্থির করিতে পারেন না পরে যাবৎ দেশীয় রাজা ঐক্য হইয়া নবাবের প্রধান পাত্র মহারাজ মহেন্দ্রকে নিবেদন করিতে প্রবর্ত্ত হইলেন। রাজা সকলের নাম বর্দ্ধমানের রাজা ও নবদ্বীপের রাজা দিনাজপুরের রাজা বিষ্ণুপুরের রাজা মেদিনীপুরের রাজা বীরভূমের রাজা ইত্যাদি করিয়া সকল রাজগণ প্রধান পাত্রের নিকট যাত্রা করিয়া স্রাজেরদৌলার দৌরাত্ম্য নিবেদন করিলেন। মহারাজ মহেন্দ্র সকলকে আশ্বাস দিয়া স্ব স্ব রাজ্যে প্রোরিত করিলেন॥

 পরে যাবদীয় মন্ত্রীরা নবাব স্রাজেরদৌলায় নীতি শিক্ষা করান যত উত্তম কথা কহেন স্রাজেরদৌলা ততোধিক মন্দ করে। পরে মহারাজ মহেন্দ্র এবং রাজা রাম নারায়ণ রাজা রাজবল্লত রাজা কৃষ্ণদাস ও মীর জাফরালি খান এই সকল লোক ঐক্য হইয়া এক দিবস জগৎসেট মহাশয়ের বাটীতে গমন করিয়া জগৎসেটের সহিত বিরলে বসিয়া পরামর্শ করিতে লাগিলেন। মহারাজ মহেন্দ্র অগ্রে কহিলেন আমি যাহা কহি তাহা তোমরা শ্রবণ করহ আমরা এ দেশে অনেক কালাবধি আছি এবং নবাব সাহেবেরদিগের আজ্ঞানুবর্তী হইয়া প্রাধান্য রূপে পুরুষানুক্রমে কাল ক্ষেপণ করিতেছি এখন যিনি নবাব হইলেন ইহার নিকট মানের লঘুতা দিন ২ হইতে লাগিল আর সকল লোকের উপর অতিশয় দৌরাত্ম্য কত রূপে নিষেধ করিলাম এবং বুঝাইলাম তাহা