পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩৮

রূপে মনোমধ্যে বিবেচনা করিতে লাগিলেন প্রচার কিছু করিলেন না কোন ভৃত্যকে আজ্ঞা করিয়া দিলেন যে দূত আসিয়াছে তাহাকে হাজার টাকা দেহ আর খাদ্য দ্রব্য যথেষ্ট করিয়া দেহ॥

 পরে রজনীতে আত্মীয় বর্গের সহিত বসিয়া পাত্রকে আহ্বান করিয়া অতি নির্জ্জন স্থানে বসিয়া সকলকে পত্র জ্ঞাত করাইয়া কহিলেন তোমরা বিবেচনা করহ ইহার কি কর্ত্তব্য। নবাবের প্রধান পাত্র লিখিয়াছেন শীঘ্র মুরসদাবাদে যাইতে এবং নবাবের দৌরাত্ম্য ক্রমে সকল প্রধান ২ মন্ত্রীরা ঐক্য হইয়া আমাকে আজ্ঞা লিপি লিখিয়াছেন আমি সে স্থানে যাইলে যে হয় বিবেচনা করিবেন অতএব মহতী বিপৎ উপস্থিত ইহার যে সৎ পরামর্শ তাহা তোমরা কহ। সকলেই নিঃশব্দ কাহারো মুখে বাক্য নাই ক্ষণেক পরে পাত্র নিবেদন করিল মহারাজ দেশাধিকারির বিষয় অতি সাবধান পূর্ব্বক বিবেচনা করিতে হইবেক। রাজা কহিলেন কি বিবেচনা করা যায়। পাত্র নিবেদন করিল অগ্রে মহারাজ গমন না করিয়া আমি অগ্রে গমন করি সেখানকার সমস্ত প্রকরণ জ্ঞাত হইয়া ভৃত্য যেমন নিবেদন লিখিবে সেই রূপ কার্য্য করিবেন হটাৎ মহারাজার যাওয়া পরামর্শ হয় না। এই কথা পাত্র কহিলে পর আর ২ মন্ত্রীরা কহিল মহারাজ এই কর্ত্তব্য। এই পরামর্শ স্থির করিয়া কিঞ্চিৎ কালের পর পাত্রকে প্রেরিত করিলেন। তখন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পাত্র কালীপ্রসাদ সিংহ॥