পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৪৫

কহিতে মহারাজা মহেন্দ্র কহিলেন তোমরা কি প্রকার করিবা। তখন রাজা রাম নারায়ণ কহিলেন পূর্ব্বে এ কথার প্রস্থাপ এক দিবস হইয়াছিল তাহাতে সকলে কহিয়াছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় অতি বড় মন্ত্রী তাহাকে আনাইয়া জিজ্ঞাসা যাউক তিনি যেমন ২ পরামর্শ দিবেন সেই মত কার্য্য করিব। এখন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই সাক্ষাতে আছেন ইহাকে জিজ্ঞাসা করুণ যে ২ পরামর্শ কহেন তাহাই শ্রবণ করিয়া যে হয় পশ্চাৎ করিবেন। ইহার পর রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে সকলে জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি সকলি জ্ঞাত হইয়াছ এখন কি কর্ত্তব্য। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় হাস্য করিয়া নিবেদন করিলেন মহাশয়েরা সকলেই প্রধান মনুষ্য আপনকারা আমাকে অনুমতি করিতেছেন পরামর্শ দিতে এ বড় আশ্চর্য্য সে যে হউক আমি নিবেদন করি তাহা শ্রবণ করুণ আমারদিগের দেশাধিকারী যিনি ইনি জবন ইহার দৌরাত্ম্য ক্রমে আপনারা ব্যস্ত হইয়া উপায়ান্তর চিন্তা করিতেছেন। সমভিব্যাহৃত মীর জাফরালি খান সাহেব ইনিও জাতে জবন অতএব আমার আশ্চর্য্য বোধ হইতেছে। এই কথার পর সকলে হাস্য করিয়া কহিলেন হাঁ ইনি জবন বটেন কিন্তু ইহার প্রহৃতি অতি উত্তম আপনি ইহাকে সন্দেহ করিবেন না। পশ্চাৎ কৃষ্ণচন্দ্র রায় নিবেদন করিলেন এ দেশের উপর বুঝি ঈশ্বরের নিগ্রহ হইয়াছে নতুবা এক কালীন এত হয় না প্রথম যিনি দেশাধিকারী ইহার সর্ব্বদা পরানিষ্ট চিন্তা এবং যেখানে শু