পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৪৯

বিদায় হইয়া নিজ রাজ্যে প্রস্থান করিলেন। পরে শিবনিবাসের বাটীতে উপনীত হইলেন। রাজা যাবদীয় পাত্র মিত্র গণকে আজ্ঞা করিলেন আমি এক বার কালীঘাটে যাইব তোমরা প্রস্তুত হও। সকলে যে আজ্ঞা বালিয়া রাজ সভাহইতে আত্ম ২ স্থানে আসিয়া রাজার গমনের আয়োজন করিতে প্রবর্ত্ত হইলেন। কিঞ্চিৎ গৌণে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় পাত্রকে সঙ্গে করিয়া কালীঘাটে আসিলেন। কিঞ্চিৎ কাল পরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কোঠির বড় সাহেবের নিকট আপন পাত্রকে পাঠাইলেন আর কহিলেন তুমি সাহেবকে নিবেদন কর গিয়া আমি কল্য সাক্ষাৎ করিতে যাইব। রাজার পাত্র আসিয়া সাহেবের সাহিত সাক্ষাৎ করিয়া নিবেদন করিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীঘাটে আসিয়াছেন এখন বাসনা সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করেন। সাহেব আজ্ঞা কারিলেন আসিতে কহ। সাহেবের আজ্ঞা পাইয়া পাত্র রাজাকে সমভিব্যাহৃত করিয়া পর দিবস সাহেবের নিকট আনিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিবামাত্র সাহেব যথেষ্ট মর্য্যাদা কারিয়া বসিতে সিংহাসন দিলেন। রাজা ও সাহেব দুই জন সিংহাসনে বসিয়া অনেক ২ হাস্য পরিহাস করিলেন এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় অনেক শিষ্টাচার করিলেন। সাহেবের প্রধান যে চাকর তিনি উভয়েরি বাক্য বুঝাইয়া জ্ঞাত করাইতে লাগিলেন। অনেক ২ কথার পর রাজা কহিলেন আমার কিঞ্চিৎ বিশেষ নিবেদন

G